সরকারি কর্মচারীর গাফিলতির জেরে মৃত হয়ে গিয়েছেন জীবিত ব্যক্তি। আর তার ফলে ওই ব্যক্তির রেশন কার্ড থেকে শুরু করে আধার কার্ড ব্লক হয়ে গিয়েছে। এর জেরে তিনি ব্যাঙ্কের কাজ করতে পারছেন না। এই অবস্থায় নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি কর্ণাটকের বেলাগাভি জেলার। ওই ব্যক্তির নাম গণপতি কাকতকর। বেলগাভির জেলা শাসক মহম্মদ রোশনের অফিসে তিনি সম্প্রতি নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে দ্বারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: স্পিড ব্রেকারের ঝাঁকুনি, মহারাষ্ট্রে অ্যাম্বুলেন্সে জীবিত হয়ে উঠলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি
রিপোর্ট অনুযায়ী, গণপতি কাকতকর দাবি করেছেন, একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের ভুলের কারণে নথিপত্রে তিনি এখন মৃত। এরফলে তিনি আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আদান প্রদান সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তিনি জানান, এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল কয়েক বছর আগে। গণপতি এবং তার ভায়েরা দাদুর রেখে যাওয়া জমির জন্য উত্তরাধিকার শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাদু মারা গিয়েছিলেন ১৯৭৬ সালে। দাদুর মৃত্যুর পর জমিটি হস্তান্তর করা হয়নি। তিনি এই সম্পত্তি তাঁর তিন ছেলে এবং গণপতি সহ আট নাতির জন্য রেখে গিয়েছিলেন। তবে দাদুর মৃত্যুর শংসাপত্র হারিয়ে যাওয়ার কারণে এতদিন সেই সম্পত্তি তারা নিজেদের নামে করতে পারেননি। ফলে তারা আদালতে যেতে বাধ্য হন। শেষ পর্যন্ত ডেথ সার্টিফিকেট জারি করার নির্দেশ দেয় আদালত।
এরপরেই ঘটে বিপত্তি। জমি নামে করার সময় হিন্দালগা রাজস্ব অফিসের একজন কম্পিউটার অপারেটর নথি জমা করার সময় ভুল করে প্রয়াত দাদুর পরিবর্তে গণপতির আধার নম্বর লিখে দেন। তারপরেই সমস্যা শুরু হয়। প্রথমে রেশন কার্ড থেকে গণপতির নাম মুছে ফেলা হয়। পরে তাঁর আধার লক হয়ে যায়। ঘটনায় তহসিলদার অফিসে গিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেন তিনি। তারপরেও কিছু হয়নি। গণপতি সমস্যাটি ধরতে পারেন গত বছরের জুনে। তিনি তখন জানতে পারেন, ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের ভুলের কারণেই সমস্যা হচ্ছে। ঘটনায় সোমবার পরিবার এবং আইনজীবী সহ গণপতি জেলা শাসক রোশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জেলাশাসক তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, যে সমস্যাটি সমাধান করা হবে। সহকারী কমিশনারকে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।