গত ২০ বছরে নাকি দক্ষিণী রাজ্য কর্ণাটকের অন্তত ৪৮ জন বিধায়ককে মধুচক্রে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে! এমনকী, রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কে এন রাজান্নাকেই এই চক্রান্তের শিকার হতে হয়েছে দু'বার! এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের জন কারিগরি বিভাগের মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি। এমনকী, এই অভিযোগ সামনে আসতেই বিজেপি পর্যন্ত এ নিয়ে তদন্তের দাবি করেছে। বলা হচ্ছে, শীঘ্রই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর এই ঘটনায় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেবে।
আজ (বৃহস্পতিবার - ২০ মার্চ, ২০২৫) কর্ণাটক বিধানসভায় রাজান্না বলেন, 'টুমকুরু এলাকা থেকে নির্বাচিত এক মন্ত্রী মধুচক্রের শিকার হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। টুমকুরু থেকে আমরা মাত্র দু'জনই আছি। একজন আমি এবং অন্যজন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।'
এরপরই রাজান্না বলেন, 'এটা কোনও নতুন আলোচনা নয়। বলা হচ্ছে, এভাবে নাকি অন্তত ৪৮ জনকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হাইকোর্ট থেকে স্থাগিতাদেশ নিয়েছেন। দুই তরফেই এমন লোকজন রয়েছেন এবং এখন আমার নামও জড়ানো হচ্ছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আবেদন জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক। যদি প্রয়োজন হয়, আমি নিজেই এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে প্রস্তুত। আমাদের অন্তত এটুকু জানা দরকার যে এখানে পরিচালক কে আর অভিনেতাই বা কে!'
সূত্রের দাবি, কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে এদিনই জারকিহোলি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'এক মন্ত্রীকে দু'বার ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, তারা সফল হয়নি।' এদিনের এই ঘটনাক্রমের আগে গতকাল (বুধবার - ১৯ মার্চ, ২০২৫) কর্ণাটক বিধানসভায় এই ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক ভি সুনীল কুমার।
প্রসঙ্গত, জারকিহোলিও এর আগে দাবি করেছিলেন, কর্ণাটকে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটছে না। তিনি বলেন, 'গত ২০ বছর ধরে এসব ঘটে চলেছে। প্রত্যেকটি দল - কংগ্রেস, বিজেপি এবং জেডিএস - এর শিকার হয়েছে।'
একইসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, এভাবে অন্তত রাজনীতি করা উচিত নয়। কিছু মানুষ কেবলমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এই ধরনের পরিস্থিতির সুযোগ নেন। আর এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
জারকিহোলির দাবি, 'আগের সরকারেও একই ঘটনা ঘটেছে। লোকজন মধুচক্রের ফাঁদে পড়েছেন। কিছু নাম শোনা গিয়েছিল। এখন আমাদের লোকেদের (কংগ্রেসের) নাম শোনা যাচ্ছে। যদিও ভবিষ্যতেও এমনটা ঘটে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার।'