বিস্তর তর্কাতর্কির পরে বাদল অধিবেশনের অন্তিম দিনে কর্নাটক বিধানসভায় খারিজ হয়ে গেল কংগ্রেসের আনা সরকার-বিরোধী অনাস্থা প্রস্তাব।
মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদিউরাপ্পা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিন দিন আগে বিধানসভায় কর্নাটকের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা সিদ্দিরামাইয়া অভিযোগ করেন, সর্ব ক্ষেত্রেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
অভিযোগে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ ইয়েদিউরাপ্পা নিজ পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের জবাবে বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারাই শুধু এমন অভিযোগ করছেন। তাই আপনাদেরই তা প্রমাণের দায়িত্ব। যদি আমার পরিবারের কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ হয়, তবে আমি সক্রিয় রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, ইয়েদিউরাপ্পার ছেলে তথা রাজ্য বিজেপি-র সহকারি সভাপতি বিজয়েন্দ্র, জামাই বিরুপাক্ষাপ্পা মারাডি ও নাতি শশীধর মারাডি ৬৬৬.২২ কোটি টাকা মূল্যের বেঙ্গালুরু উন্নয়ন পর্ষদের প্রকল্পের সুবাদে এক ঠিকাদার সংস্থার থেকে ১৭ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলের স্টিং অপারেশনের ভিত্তিতে এই অভিযোগ করা হয়।
উল্লিখিত টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ওই ঠিকাদার সংস্থা। পাশাপাশি, চ্যানেলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছেন বিজয়েন্দ্র।
শনিবার বিধানসভায় বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে নির্দিষ্ট সংখ্যক সমর্থকের অভাবে কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি ও প্রতিবাদের মধ্যে পাশ হয়ে যায় বিতর্কিত এপিএমসিসংশোধন বিল। এর পর অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন বিরোধী বিধায়করা।