দক্ষিণী রাজ্য কর্ণাটকের অন্তত ৪৮ জন রাজনীতিবিদকে মধুচক্রে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের মন্ত্রী। আর এই নিয়ে আজ কর্ণাটক বিধানসভায় হট্টগোল হল। আজ কর্ণাটকের বিরোধী দল বিজেপির বিধায়করা অধিবেশন কক্ষের ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন এবং সিডি উঁচিয়ে প্রতিবাদ জানান। এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানায় গেরুয়া শিবির। স্পিকারের চেয়ারের সামনে কাগজপত্রও ছিঁড়ে ফেলেন তাঁরা। সেই সময় বিজেপির কিছু সদস্যের হাতে সিডি ছিল। তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের কাছে সেই মধুচক্র ফাঁদের প্রমাণ রয়েছে। তদন্তের দাবিতে ধর্নাও দেন বিজেপি সদস্যরা। (আরও পড়ুন: কুণালের দাবি ৩০, সহমত নন দেবাংশু, অঙ্ক কষে বললেন, এর থেকে অনেক বেশি আসন পাবে BJP)
আরও পড়ুন: 'চিন যুদ্ধের' গোপন তথ্য মাস্কের কাছে? NYT রিপোর্টে চাঞ্চল্য, ট্রাম্প বললেন…
উল্লেখ্য, কর্ণাটক বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি বলেছিলেন, 'টুমকুরু এলাকা থেকে নির্বাচিত এক মন্ত্রী মধুচক্রের শিকার হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। টুমকুরু থেকে আমরা মাত্র দু'জনই আছি। একজন আমি এবং অন্যজন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।' এই আবহে কে এন রাজান্না বলেন, 'এটা কোনও নতুন আলোচনা নয়। বলা হচ্ছে, এভাবে নাকি অন্তত ৪৮ জনকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হাইকোর্ট থেকে স্থাগিতাদেশ নিয়েছেন। দুই তরফেই এমন লোকজন রয়েছেন এবং এখন আমার নামও জড়ানো হচ্ছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আবেদন জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক। যদি প্রয়োজন হয়, আমি নিজেই এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে প্রস্তুত। আমাদের অন্তত এটুকু জানা দরকার যে এখানে পরিচালক কে আর অভিনেতাই বা কে!' (আরও পড়ুন: কপাল পুড়ল অগ্নিকাণ্ডে? ঘর থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়, কে এই হাইকোর্টের বিচারপতি?)
আরও পড়ুন: কথায় কথায় 'ভারত নাম', বালোচিস্তান হাতছাড়া হওয়ার আতঙ্ক গ্রাস করেছে পাকিস্তানকে?
এই পরিস্থিতিতে সাফাই দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, 'হানি ট্র্যাপ মামলায় কাউকে রক্ষা করার কোনও প্রশ্ন নেই। আইন অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।' এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর অধিবেশন কক্ষে বলেন, 'এই নিয়ে রাজান্না অভিযোগ করলে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। রাজন্না কারও নাম করেননি, কারও নাম বললে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। এই মামলায় কাউকে রক্ষা করার কোনও প্রশ্নই নেই।' এই আবহে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি কেএন রাজন্নার ছেলে এবং এমএলসি রাজেন্দ্র রাজন্নার বিরুদ্ধে কথিত মধুচক্র ফাঁদের চেষ্টার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেবেন। (আরও পড়ুন: বালোচ ট্রেন হাইজ্যাকে মৃতের সংখ্যা নিয়ে লুকোচুরি? মর্গ থেকে দেহ 'লোপাট')
আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘকে তোপ দেগেছিলেন জয়শংকর, তা নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
এদিকে জারকিহোলিও এর আগে দাবি করেছিলেন, কর্ণাটকে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটছে না। তিনি বলেন, 'গত ২০ বছর ধরে এসব ঘটে চলেছে। প্রত্যেকটি দল - কংগ্রেস, বিজেপি এবং জেডিএস - এর শিকার হয়েছে।' তিনি বলেছিলেন, 'এভাবে অন্তত রাজনীতি করা উচিত নয়। কিছু মানুষ কেবলমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এই ধরনের পরিস্থিতির সুযোগ নেন। আর এটা বন্ধ হওয়া দরকার।' তাঁর কথায়, 'আগের সরকারেও একই ঘটনা ঘটেছে। লোকজন মধুচক্রের ফাঁদে পড়েছেন। কিছু নাম শোনা গিয়েছিল। এখন আমাদের লোকেদের (কংগ্রেসের) নাম শোনা যাচ্ছে। যদিও ভবিষ্যতেও এমনটা ঘটে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার।'