Zika Virus Karnataka: করোনার পর এখন ভয় দেখাচ্ছে জিকা ভাইরাস। কর্ণাটকের এই প্রথম জিকা সংক্রমণের কেস ধরা পড়েছে। পাঁচ বছরের একটি শিশু জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে. সুধাকর বলেন, 'পাঁচ বছরের একটি মেয়ে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাকে নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে এই প্রথম জিকা ভাইরাস সংক্রমণের খোঁজ মিলল। সরকার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গোটা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছে। ভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতর সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
তিনি আরও জানান, শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হবে। তিনি বলেন, কয়েক মাস আগেই কেরল, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে জিকা ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। কিন্তু কর্ণাটকে এটিই প্রথম কেস। তিনি বলেন, সরকার সতর্কতা অবলম্বন করছে। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও নজরদারি চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে, পুনের বাভধান এলাকায় ৬৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিনি আদতে নাসিকের বাসিন্দা। গত ৬ নভেম্বর পুনে এসেছিলেন। এরপর থেকেই হঠাত্ তাঁর প্রবল জ্বর, কাশি, গাঁটে ব্যথা এবং দুর্বল ভাব দেখা দেয়। শেষমেশ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপরেই তাঁর জিকা সংক্রমণের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
জিকা ভাইরাস
এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়ায়। WHO-র মতে, ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় প্রথম এই ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল, জিকা ভাইরাসের মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়।
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
জিকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে জ্বর, সর্দি, মাথাব্যাথা এবং ত্বকে লাল লাল দাগের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এর পাশাপাশি চোখে লাল ভাব, গাঁটে-গাঁটে যন্ত্রণা হয়।
সাধারণত ২ থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই উপসর্গ টানা জারি থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাও জানিয়েছে যে, অনেক ক্ষেত্রে আলাদা করে জিকা ভাইরাস চিহ্নিত করার মতো উপসর্গগুলিও দেখা যায় না। এর ফলে সাধারণ জ্বর ভেবে ফেলে রাখলে তার পরিণতি ভয়ানক হতে পারে। তাই একটানা জ্বর হলেই অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
এমনিতে এর কোনও আলাদা বিশেষ ওষুধ নেই। তবে জ্বর নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আক্রান্তের পথ্যে জোর দেওয়া হয়। প্রচুর জল পান করতে বলা হয়। আরও পড়ুন: Dengue: ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু কলকাতায়, ঠান্ডা বাড়লে কি কমবে মশার উৎপাত?
মশা নিয়ে সাবধান!
এমনিতেই এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ। তার উপর জিকার মতো বিষয় তো রয়েইছে। তাই মশা নিয়ে এবার একটু সতর্ক হন। বাড়ির ১০০ মিটার আশেপাশে নিয়মিত নজরদারি চালান। কোথাও জমা জল দেখলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিন। টায়ার, ভাঙা পাত্র, অব্যবহৃত চৌবাচ্চা, জমে থাকা নর্দমা এমনকি ফুলদানির জলেও মশা জন্মায়। তাই পুরসভা-পঞ্চায়েতের ভরসায় না থেকে নিজেই এই বিষয়গুলি নিয়ে সতর্ক থাকুন। প্রতিবেশীদেরও সেই বিষয়ে সতর্ক করতে পারেন।