‘মোঘল আমলে যে সব মন্দির ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, সেগুলিকে আমরা আইনি পথেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।’, সম্প্রতি এমনই দাবি তুললেন বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা কে এস ইশ্বরাপ্পা। সম্প্রতি কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরের ঠিক পাশে জ্ঞানভাপি মসজিদ চত্বরে ভিডিওগ্রাফি প্রক্রিয়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের ওই নির্দেশের প্রেক্ষাপটেই বিজেপি নেতার এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা কে এস ইশ্বরাপ্পা জানান, ‘মোঘল আমলে সারা দেশ জুড়ে ৩৬ হাজার মন্দিরকে ধ্বংস করা হয়েছে। আইনি পথে আদালতের রায় নিয়েই আমরা ওই সব মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।’ কর্ণাটকে বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন এই কর্ণাটকের মান্ধা জেলায় নরেন্দ্র মোদী বিচার মঞ্চের তরফে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে সংগঠনের তরফে আবেদন জানানো হয়, জামা মসজিদ যেটা কিনা একটা সময়ে মুডালু ভাগিলু হনুমান মন্দির ছিল, সেখানে যেন হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুনাথের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘শ্রীরঙ্গপত্তনায় হনুমান মন্দিরটিকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেখানে জামা মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রচুর মূর্তি রয়েছে। যেভাবে উত্তরপ্রদেশের মসজিদে সমীক্ষার কাজ চলছে, সেই একইভাবে এখানেও যেন সমীক্ষা চালানো হয়।’
শ্রীরাম সেনার প্রধান প্রমোদ মুথালিক জানান, ‘হনুমান মন্দিরটিকে ধ্বংস করেই সেখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এর সপক্ষে অনেক প্রমাণ রয়েছে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ওই মসজিদের সামনে ভারতের প্রত্নতত্ববিভাগ একটি বোর্ড লাগিয়েছিল, যেখানে লেখা ছিল এখানকার কোনও অংশকে ধ্বংস বা পুনর্নিমাণ করা যাবে না। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা কোনও কথাই শোনেনি। উল্টে ওখানে মাদ্রাসা তৈরি করা হয়েছে। নমাজ পাঠও চলছে। বেশ কিছু জায়গায় জবরদখল করে বসে আছে।’ মসজিদ ধ্বংস করে মন্দির করা নিয়ে বিতর্ক যখন নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে, তখন ওয়াকিবহাল মহল এর পিছনে বিজেপির অভিসন্ধি খুঁজে পাচ্ছেন। তাঁদের মতে, কয়েক মাসের মধ্যে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। সেই বিধানসভা ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্যই বিজেপি এই হিন্দুত্বের হাওয়া তুলছে।