এফবিআই-এর পরবর্তী অধিকর্তা কাশ প্যাটেল ইরানি হ্যাকারদের হাতে আক্রান্ত হলে দাবি করা হল রিপোর্টে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের মতে, হ্যাকাররা কাশ প্যাটেলের কিছু ইমেলে ঢুকে থাকতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রানজিশন মুখপাত্র অ্যালেক্স ফাইফার হ্যাকিংয়ের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও বলেছেন, ট্রাম্পের প্রথম টার্মে ইরানের বিরুদ্ধে কাশ প্যাটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আর এবারে এফবিআই পরিচালক হিসাবে আমেরিকাকে রক্ষা করার জন্য ট্রাম্পের নীতি বাস্তবায়ন করবেন কাশ। এদিকে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ প্যাটেল ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের টিমকে সাইবার হামলার বিষয়টি জানিয়েছে এফবিআই। এর আগে গত মাসে এফবিআই ট্রাম্পের প্রধান অ্যাটর্নি ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে মনোনীত টড ব্লাঞ্চকে জানান, চিনা হ্যাকাররা ট্রাম্পের সেলফোন ট্যাপ করেছে। তবে চিনা সরকার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। (আরও পড়ুন: 'নয়া ভারতে সংবিধানকে শেষ করা হবে', সম্ভলের পথে বাধা পেয়ে ফেটে পড়লেন রাহুল)
আরও পড়ুন: সাক্ষী ১০০-র ওপর, আরজি কর ধর্ষণ-খুন মামলায় চার্জশিট পেশ হবে সন্দীপ-অভিজিতের নামে
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেলকে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পরবর্তী অধিকর্তা হিসেবে বেছে নিলেন নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, কাশ দুর্দান্ত আইনজীনী, তদন্তকারী, 'আমেরিকা ফার্স্ট' তত্ত্বের যোদ্ধা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম কার্যকালে কাশ দুর্দান্ত কাজ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। ১৯৮০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্কের গার্ডেন সিটিতে হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কাশ। তিনি যেখানে জন্মগ্রহণ করেন, তা 'মিনি ইন্ডিয়া' নামেও পরিচিত। তাঁর বাবার পরিবার উগান্ডা থেকে আমেরিকায়। আর মায়ের পরিবার তানজানিয়া থেকে আমেরিকায় আসে। কাশ প্যাটেলের পরিবার গুজরাটি। (আরও পড়ুন: শপথ বৃহস্পতিতে, অবশেষে চূড়ান্ত হল নাম, মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন…)
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দেখানো পথে এবার ভেঙেই যাবে ইন্ডিয়া? অখিলেশেব ভাবগতিকে জল্পনা
ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাশ পড়াশোনা করেছিলেন কাশ। পরবর্তীতে ভরতি হয়েছিলেন নিউ ইয়র্কের পেস ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ল'তে। ফ্লোরিডায় আট বছর আইনজীবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ফ্লোরিডা থেকে তিনি চলে এসেছিলেন ওয়াশিংটনে। সেখানে মার্কিন বিচার বিভাগে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস বিষয়ক আইনজীবী ছিলেন। প্রায় সাড়ে তিন বছর সেই দায়িত্বে ছিলেন। এখনও তিনি মার্কিন বিচার বিভাগে কাজ করেন। ২০১৮ সালে তিনি প্রথম প্রচারের আলোয় উঠে এসেছিলেন কাশ। ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে 'হাউস ইনটেলিজেন্স কমিটি' তদন্ত করেছিল। একটি মেমো তৈরির ক্ষেত্রে কাশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যাতে অভিযোগ করা হয়েছিল যে নজরদারি সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করে ট্রাম্পের প্রচার উপদেষ্টাদের নিশানা করেছে এফবিআই। নিউ ইয়র্ক টাইমস তো কাশকে 'কাশ মেমো' হিসেবেও চিহ্নিত করেছিল।