আগামী বছরের শুরু থেকে নয়া পোশাক বিধি চালু হতে চলেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। আর এবার পোশাক বিধি চালু করার ভাবনা চিন্তা করছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দির ট্রাস্টের পরবর্তী বৈঠকে তীর্থযাত্রীদের জন্য পোষাক বিধির বিষয়ে আলোচনা করা হতে পারে বলে মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শর্টস, ফাটা জিন্স, স্কার্ট পরে প্রবেশ নিষেধ পুরীর মন্দিরে,ভক্তদের পোশাক বিধি কবে থেকে?
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের চেয়ারম্যান নাগেন্দ্র পান্ডে জানিয়েছেন, দেশের অন্যান্য মন্দিরগুলিতে কীভাবে পোশাক বিধি প্রয়োগ করা হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। তার ভিত্তিতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পোশাক বিধি চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। তিনি জানান, স্থানীয় মানুষ, ভক্তরা এবং সংবাদমাধ্যমের একাংশ কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পোষাক বিধি থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। আগামী নভেম্বরে মন্দির কর্তৃপক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে । সেখানে এই বিষয়টি আলোচনা করা হবে।
প্রাথমিকভাবে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশের সময় পুরুষদের ধুতি-পাঞ্জাবি পরতে হবে এবং মহিলাদের শাড়ি পরতে হবে এমন একটি প্রস্তাবের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হতে পারে বলে পান্ডে জানান। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক পীযূষ তিওয়ারি জানান, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় বর্তমানে অনেক বেড়েছে। তবে বর্তমানে সেখানে কোনও পোশাক বিধি নেই। তবে অন্যান্য বিভিন্ন বড় মন্দিরে পোশাক বিধি রয়েছে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, যারা তিরুপতি মন্দিরের পাশাপাশি মীনাক্ষী এবং উজ্জয়িনী মন্দিরে গিয়েছেন, তারা এখানে এসে পোশাক বিধির প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন। নাগেন্দ্র পান্ডে জানান, ‘এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আমাদের কাছে দাবি করেছেন। আমরা সর্বসম্মতিক্রমে কী সিদ্ধান্ত নেব। দেশের অন্যান্য মন্দিরে কীভাবে এটি প্রয়োগ করা হচ্ছে তাও আমরা পর্যবেক্ষণ করব। আমাদের দেখতে হবে যে যারা পরিদর্শন করতে আসছে তারা যেন শালীন পোশাক পরেন।’
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে আসছেন। তাদের বাধা দেওয়া যাবে না। তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না বা নতুন জামাকাপড় কিনতে বাধ্য করা যাবে না। এটি একটি খুব জটিল সমস্যা। সেই কথা মাথায় রেখে তার সমাধান করতে হবে।
তিনি জানান, গ্রাম ও অন্যান্য প্রত্যন্ত এলাকা থেকে যারা আসছেন তাদের কোনও সমস্যা হবে না। কারণ তাদের পোশাকে শালীনতা থাকে। তবে মহানগর থেকে যারা আসেন পোশাক নিয়ে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। সবকিছু মাথায় রেখেই আলোচনা করবে মন্দির কর্তৃপক্ষ।