টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড পঞ্জাবের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। রবিবার সন্ধ্যায় পঞ্জাবের মোগা জেলার গল কালান গ্রামে লালা লাজপত রায় কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ক্যাম্পাসে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ছাত্রদের সঙ্গে বিহার এবং অন্যান্য রাজ্যের ছাত্রদের সংঘর্ষ বাঁধে বলে জানা গিয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে পাকিস্তানের পরাজয়ের পরই এই সংঘর্ষ বাঁধে।
আহত শিক্ষার্থীদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনকে জরুরি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডঃ সুখপ্রীত সিং ব্রার বলেছেন, ‘কেউই গুরুতরভাবে আহত হয়নি। কিছু ছাত্রকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়।
স্টেশন ইনচার্জ জাসবিন্দর সিং বলেন, ‘লালা লাজপত রায় কলেজে ছাত্রদের দুই দল পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষকেই একে অপরের দিকে পাথর ছুড়তে দেখা গিয়েছে। সংঘর্ষের সময় কোনও ধরনের স্লোগান ওঠার কোনও তথ্য পুলিশের কাছে নেই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়।’ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের। কলেজ ক্যাম্পাস ও হোস্টেলের আশেপাশে তাৎক্ষণিকভাবে বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশিরভাগ কাশ্মীরি ছাত্র একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ছিল। তারা পাকিস্তানকে সমর্থন করছে বলে অভিযোগ করা হয়। এদিকে বিহার ও অন্যান্য রাজ্যের ছাত্রদের একটি দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলছিল বলে অভিযোগ। এর পর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। উভয় পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। এদিকে, কাশ্মীরি ছাত্ররা অভিযোগ করেছে যে বিহার এবং অন্যান্য রাজ্যের ছাত্ররা তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে। সংঘর্ষে আহত এক কাশ্মীরি ছাত্র বলেন, তারা আমাদের দিকে ঢিল ছুঁড়লে আমরাও একইভাবে পাল্টা জবাব দিয়েছিলাম।