কাশ্মীর পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের গতিবিধিতে কি এবার যুক্ত হবে তালিবান? সোশ্যাল মি়ডিয়ায় এই সংক্রান্ত পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। যদিও তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছে যে এই দাবি অসত্য। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা নাক গলায় না।
ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তালিবান কাশ্মীরে জিহাদে যুক্ত হচ্ছে, গণমাধ্যমে প্রচারিত এই তথ্য অসত্য। আমাদের নীতি স্পষ্ট, অন্যদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করি না। প্রসঙ্গত, তালিবানের রাজনৈতিক শাখা হল ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তান। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথা জানিয়েছে সুহেল।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছে তালিবান মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদির একটা তথাকথিত বিবৃতি। সে বলছে কাশ্মীর ইস্যু সমাধান না হলে ভারতের সঙ্গে বন্ধু হওয়া যাবে না। কাবুল দখল করার পর কাশ্মীর পরবর্তী টার্গেট বলে জানিয়েছিল সে, এমনই দাবি উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সূত্রের খবর, তালিবানের এই স্পষ্টীকরণ এসেছে ভারতের হস্তক্ষেপের পর। ব্যাকচ্যানেলের মাধ্যমে তালিবানদের কাছে ভারত জিজ্ঞেস করেছিল যে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে তাদের কি অবস্থান। তখন ভারতকে তালিবান জানায় যে এই সব পোস্ট ভূয়ো ও তালিবানের অবস্থানের ইঙ্গিতবাহী নয়।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞের মতে তালিবানের মধ্যেও বিভিন্ন মতাদর্শের লোক আছে। অনেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চায়, কেউ আবার স্বত্যন্ত্র থাকার পক্ষপাতী। তাই পাকিস্তানের চাপে ফের নীতি বদল করবে তালিবান, এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।