জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। দীর্ঘদিন ধরে সেই আবেদন চাপা পড়েছিল। তবে সম্প্রতি এনিয়ে ফের শুনানি শুরু হয়েছিল । কিন্তু মঙ্গলবার এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় স্থগিত রাখল।এদিকে আবেদনকারীরা জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। এই আইনের বদলে এই রাজ্যে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।
পাঁচজন বিচারপতি তার মধ্যে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলা শুনছিলেন। আবেদনকারী ও কেন্দ্রীয় সরকারের উভয়ের আবেদনই শুনছিলেন বিচারপতি। এদিকে প্রায় তিন বছর ধরে এই মামলা কার্যত সুপ্ত অবস্থায় ছিল।
এই মামলার অন্য়তম আবেদনকারী তথা ন্যাশানাল কনফারেন্সের নেতা হাসনায়েন মাসুদি বলেন, যে শুনানি হয়েছে তাতে আমরা খুশি। সমস্ত দিক নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।
এদিকে গত ২ অগস্ট এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। এরপর প্রায় ১৬ দিন ধরে এই শুনানি চলতে থাকে। দুপক্ষের তরফেই এনিয়ে কড়া যুক্তি উল্লেখ করা হয়। লাইভ লয়ের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, প্রথম ৯দিন আবেদনকারীদের তরফে তাদের যুক্তি সামনে আনা হয়। কাশ্মীরের পুরানো ইতিহাস তুলে ধরেছিলেন তারা। দেশের অন্য় প্রান্তের সঙ্গে কাশ্মীরের কী ধরনের সম্পর্ক সেটাও তুলে ধরা হয়েছিল সেই শুনানিতে।
আর কেন্দ্রের তরফে শুনানিতে বলা হয়েছে এই ৩৭০ ধারা বিলোপ করার আগে কাশ্মীর নিজেদেরকে আলাদা বলে মনে করত। সেখানকার বাসিন্দারা আগে নিজেদেরকে দেশের অন্য প্রান্তের থেকে কিছুটা ফারাক রয়েছে বলে মনে করতেন। কেন্দ্র জানিয়েছে, সংবিধান প্রণেতারা ৩৭০ ধারাকে একটা সাময়িক বিষয় বলে মনে করতেন।
আইনজীবী কপিল সিব্বল, জাফর শাহ, গোপাল সুহ্মমণিয়ম, রাজীব ধাবন প্রমুখরা ছিলেন আবেদনকারীদের পক্ষে। আর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কাটারমনি, সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া তুষার মেহেতা, অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ।