স্বাধীনতার প্রাক্কালে ফের রক্তাক্ত জম্মু ও কাশ্মীর। বান্দিপোরা জেলার সুম্বলে এক পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে খুন করল জঙ্গিরা। সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে পরিযায়ী এবং পণ্ডিতদের উপর হামলার ঘটনায বেড়েছে। এই আবহে স্বাধীনতা দিবসের আগে ফের এই ধরনের একটি ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে উপত্যকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে একটি টুইট বার্তায়, পুলিশ জানিয়েছে যে মৃত শ্রমিক বিহারের মাধেপুরার বাসিন্দা। তাঁর নাম মহম্মদ আমরেজ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জঙ্গিরা তাঁর উপর গুলি চালায়। পরে একটি হাসপাতালে জখম অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমরেজ।
চলতি মাসে কাশ্মীরে এই ধরনের দ্বিতীয় হামলা এটি। এর আগে গত ৪ অগস্ট পুলওয়ামা জেলার গাদুরাতে গ্রেনেড হামলায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক নিহত এবং আরও দুইজন জখম হয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার জন্য দায়ী দুই হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ৩ জুন বুদগাম জেলায় এক ইট ভাটার শ্রমিকও জঙ্গি হামলায় নিহত হন।
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং জনকল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে, পর্যবেক্ষণ SC-র
জঙ্গি গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট গাদুরার হামলার দায় স্বীকার করেছিল।গোষ্ঠীর মুখপাত্র উমর ওয়ানি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি জারি করে এই হামলাকে ‘অপারেশন ক্লিন আপ’-এর অংশ হিসেবে আখ্যা দেয়। এই হামলা আরও জোরদার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সে। তার কথায়, ‘এটি সেই সকলের জন্য একটি সতর্কবাণী যারা একটি সেটেলার প্রোগ্রামের অংশ।’
আরও পড়ুন: ‘জঘন্য খাবার’, মেসে ‘অখাদ্য রুটি’ দেখে কেঁদে ফেললেন পুলিশকর্মী, ভাইরাল ভিডিয়ো
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে ২০১৯ সালের অগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এর ফলে এই অঞ্চলে সম্পত্তি কেনা এবং সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনাবাসীদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। এই আবহে কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং পরিযায়ী শ্রমিকেদর মতো অসামরিক নাগরিকের উপর হামলা বেড়েছে। নৃশংস ভাবে খুন করা হচ্ছে বহু সাধারণ নাগরিককে।