কথায় আছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, আসমুদ্র হিমাচল। এবার সেই কাশ্মীরের সঙ্গে কন্যাকুমারীকে রেলপথে যোগ করার উদ্যোগ। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেনান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জানিয়েছেন, আগামী বছরের মধ্যে কাশ্মীর ও কন্যাকুমারীর মধ্যে রেল পথে যোগসূত্র তৈরি হবে। প্রায় ৩৬১২ কোটি টাকা ব্যয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন চারটি জাতীয় সড়ক প্রকল্প তৈরি হবে। তারই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে একথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করিও উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মধ্যে কাশ্মীর ও কন্যাকুমারীর মধ্যে রেলের মাধ্যমে যোগসূত্র তৈরি হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, যোগাযোগ ব্য়বস্থার উন্নতি কাশ্মীরের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিকেও বদলে দিয়েছে। বারামুল্লা ও গুলমার্গের মধ্যে রাস্তাটিকে আরও উন্নত করা হচ্ছে। শ্রীনগর শহরে রিং রোড তৈরির ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল পর্যন্ত লাদাখ সহ সাবেক জম্মু ও কাশ্মীরে কেবলমাত্র ৭টি জাতীয় সড়ক ছিল। ২০২১ সালে শুধু জম্মু ও কাশ্মীরেই সেই জাতীয় সড়কের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১টি। বর্তমানে রাস্তার উন্নয়নের ক্ষেত্রে জম্মু ও কাশ্মীর দেশের মধ্য়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে মাত্র ১ বছরেই জম্মু ও কাশ্মীরে ১১টি টানেল প্রজেক্ট তৈরির অনুমোদন মিলেছে। চেনানি-কিশ্তার হাইওয়েতে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি টানেল তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি বলেন, নতুন এই প্রজেক্টগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনধারনের মানকে উন্নত করবে, তেমনি ব্যাবসা ও পর্যটনেরও প্রসার ঘটবে। দিল্লি- জম্মু কিংবা জম্মু থেকে শ্রীনগর এক্সেপ্রেসওয়েতে প্রায় অর্ধেক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে।