জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় রবিবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। সূত্রের খবর, কাশ্মীরের পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি বেশ কয়েকজন জঙ্গির দেখা মেলে। তারপরই অভিযানে নামে সেনা। গোপন সূত্র মারফৎ সেখানে জঙ্গিদের হদিশের খবর পেতেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ, সেনা ও সিআরপিএফের যৌথ অভিযান শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, কাঠুয়ার হিরনগর সেক্টরের সানিয়াল গ্রামের কাছে তল্লাশি অভিযানে নামে সেনা। এই হিরনগর গ্রাম, মূলত, কাশ্মীরে, পাকিস্তান সীমান্তের কাছের একটি গ্রাম। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানে কিছু জনের সন্দেহজনক ঘোরাফেরার খবর পেতেই যৌথ বাহিনী নামে অভিযানে। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে এবং আরও বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার সুরানকোটের সাংলা এলাকায় কিছু 'সন্দেহজনক গতিবিধি' লক্ষ্য করার পর নিরাপত্তা বাহিনী একটি যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পুঞ্চ পুলিশের সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রোমিও ফোর্সেস যৌথ অভিযান শুরু করে।
( Bounty on Haqqani: আফগানে আটক মার্কিনি ছাড়া পেতেই USর পদক্ষেপ!হাক্কানির উপর থেকে সরল ১ কোটি ডলারের ‘মাথার দাম’-Report)
অন্যদিকে, রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক অফিসার জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলার একটি প্রত্যন্ত বনাঞ্চলে একটি সন্ত্রাসী আস্তানা আবিষ্কার করা হয়েছে, যেখানে একটি পিস্তল এবং কিছু গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, শনিবার ভাদেরওয়াহর ভালরা বন এলাকায় স্থানীয় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) যৌথ তল্লাশি অভিযানের সময় এই আস্তানাটি আবিষ্কার করা হয়। তারা আরও জানিয়েছে, গোপন আস্তানা থেকে একটি পিস্তল, এর তিনটি ম্যাগাজিন এবং ছয় রাউন্ড গুলি এবং ২৫ রাউন্ড একে অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহজনক গতিবিধির খবর পেয়ে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত সেইঅভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
রাজৌরিতে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গ্রেনেড ছোড়া হয়:-
এর আগে, গত ২১ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীরের রজৌরিতে এক পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার ঘটনা ঘটে যায়। এক সিনিয়র অফিসার জানান, সেই বোমা খুব অল্পের জন্য পুলিশের গাড়িতে লাগেনি। ফলে পুলিশ কর্মীদের কোনও ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। সেই বোমা রাস্তাতেই বিস্ফোরণ হয়। জানা গিয়েছে, সেদিন স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) এর গাড়িটি নিয়মিত টহল দিচ্ছিল এবং 'ডেরা কি গালি' থেকে ‘থান্নামান্ডি’র দিকে যাচ্ছিল, তখন রাত ৮.৩০ টা। সেই সময় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা গ্রেনেডটি ছুঁড়ে মারে।