সবকিছু পরিকল্পনা অনুসারে চললে আগামী ৩ বছরের মধ্যেই দিল্লি-হাওড়া এবং হাওড়া-চেন্নাই রুটের রেলপথে অত্যাধুনিক কবচ ব্যবস্থাপনা লাগিয়ে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লেখালিখি শুরু হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেইসব প্রতিবেদন অনুসারে, এর পাশাপাশি, আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সারা দেশের প্রায় ১০ হাজার ইঞ্জিনে কবচ ব্যবস্থাপনা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
রেলের তরফে ঠিক করা হয়েছে, ভারতীয় রেলপথের অন্তত ১৫ হাজার দীর্ঘ অংশকে কবচ ব্যবস্থাপনার অন্তর্গত করা হবে। যাতে রেল দুর্ঘটনায় রাশ টেনে রেলযাত্রীদের জীবন ও যাত্রা দুই-ই আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত করা সম্ভব হয়।
কারণ, তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দাবি, কবচ ব্যবস্থা কার্যকর থাকলে একই লাইনে দু'টি ট্রেনের সংঘর্ষের মতো ঘটনা আর ঘটবে না।
উল্লেখ্য, মোদী সরকারের জমানায় রেল দুর্ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়েছে। প্রাণ গিয়েছে শত-শত মানুষের। রেল কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার জন্য সমালোচনার মুখে যেমন পড়তে হয়েছে, তেমনই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রেন দুর্ঘটনায় রাশ টানতে গত বছর থেকে রেলের ইঞ্জিন ও লাইনে কবচ বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকারের রেল মন্ত্রক। সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত ৪৮২টি ট্রেনে কবচ ব্যবস্থাপনা লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি, গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১,৯৪৮ কিলোমিটার রেলপথকে এই ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হয়েছে।
আগামী ৩ বছরের মধ্য়ে প্রায় ১৫ হাজার রেলপথকে এই ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছে রেল মন্ত্রক। এর আওতায় সর্বাধিক ব্যস্ত রেলপথ হিসাবে দিল্লি-হাওড়া এবং দিল্লি মুম্বই রুটকে প্রকল্প রূপায়ণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়াও, অতি ব্যস্ত দুই রেল রুট - হাওড়া-চেন্নাই এবং মুম্বই-চেন্নাই পথেও আগামী ৩ বছরের মধ্যেই কবচ ব্যবস্থাপনা বসিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেছে রেল। তাদের দাবি, এই পরিকল্পনা সফল হলে ওই সময়সীমার মধ্যে ভারতীয় রেলপথের ৮০ শতাংশই কবচের আওতায় চলে আসবে।
স্বাভাবিকভাবেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে গেলে রেলকে বিপুল পরিমাণ খরচ বহন করতে হবে। কারণ, একটি ট্রেনে কবচ বসাতেই প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়।
অন্যদিকে, মাত্র ১ কিলোমিটার রেলপথকে অত্যাধুনিক এই ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তাই, চলতি অর্থবর্ষে এই খাতে ১,১১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই খাতে ১,৫৪৭ কোটি টাকা খরচ করেছে রেল।