কয়েকদিন আগেই পটনায় গিয়ে নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। এরপরই নীতীশ দিল্লি গিয়ে দেকা করে আসেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। এই আবহে এবার ২০২৪ সালের আগে নিজের নয়া দল গঠনেরই ঘোষণা করে দিলেন কেসিআর। লক্ষ্য দিল্লি দখল। রবিবার তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলাঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও ঘোষণা করেন, নতুন দলের নীতি নির্ধারণ করতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এটি জাতীয় দল হবে বলেও জানান তিনি। (আরও পড়ুন: ’২৪ ঘণ্টার মধ্যে DA’, মমতার সরকারকে আক্রমণ করে ‘প্রতিশ্রুতি’ শুভেন্দুর!)
এদিকে কেসিআর-এর দফতর সূত্রে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘একটি বিকল্প জাতীয় দল গঠনের বিষয়ে সকলে সম্মত হয়েছেন৷ এ নিয়ে বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল৷ তেলাঙ্গানা আন্দোলন শুরু করার আগেও আমরা এমনটাই করেছিলাম৷ খুব শীঘ্রই একটি নতুন জাতীয় দল গঠন করা হবে৷’
আরও পড়ুন: ‘কেন যাব নবান্ন অভিযানে?’ বিদ্রোহের সুর BJP-তে, ‘কে ****?’ কুকথা দিলীপের মুখে
এর আগে কেসিআর বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন। এদিকে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতেও নারাজ কেসিআর। এই আবহে রাজ্যে গদি টিকিয়ে রেখে কেন্দ্রে বিজেপির মসনদ নড়িয়ে দিতে ছক কষছেন কেসিআর। এই অঙ্ক কষতে তিনি বিভিন্ন ‘ফর্মুলা’ পাচ্ছেন আই-প্যাক থেকেই।
এদিকে গতকাল কেসিআর-এর সঙ্গে হায়দরাবাদ এসে দেখা করেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী৷ জানা গিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে বিকল্প রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আলোচনা হয়৷ দুই নেতার বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে প্রকাশ করে টিআরএস-এর তরফে বলা হয়, বর্তমান সময়ে জাতীয় রাজনীতিতে কেসিআর-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত৷ এই বিষয়টি নিয়ে কুমারস্বামীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে৷