অতিবিপ্লবী মানসিকতা রয়েছে এমন জেলবন্দিদের অন্য় বন্দিদের থেকে একটু আলাদা রাখুন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারের কাছে সংশোধনাগার সংক্রান্ত কিছু নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে এব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে যে বন্দিদের মধ্যে নেতিবাচক ভাবনা রয়েছে তাদের কিছুটা আলাদা রাখার ব্য়াপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, ই- প্রিজনার্স পোর্টালের জন্য ১০০ কোটি টাকা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কেন অতিবিপ্লবী ও মৌলবাদীদের সাধারণ বন্দিদের থেকে আলাদা করার কথা বলা হচ্ছে? অনেকের মতে, দেশকে মাওবাদী ও জঙ্গিমুক্ত করার ব্য়াপারে ইতিমধ্যেই চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এদিকে মাওবাদী সহ নানা ধরনের অতিবিপ্লবীরা বর্তমানে জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তারা যদি সহবন্দিদের তাঁদের আদর্শ সম্পর্কে পরিচয় করান তবে আগামীদিনে আখেরে সমস্য়া হতে পারে। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে কোনও বন্দি যদি সেই আদর্শকে আঁকড়ে ধরেন তবে সমস্য়ায় পড়তে হতে পারে। সেকারণেই আগাম সতর্ক করা হচ্ছে।
আসলে জেল মানেই হল সংশোধনাগার। কিন্তু সংশোধনের জায়গায় যদি সঙ্গদোষে অপরাধের বীজ বপন করা হয় সহবন্দিদের মাথায় তবে আগামী দিনে সমস্যা হতে পারে। সেকারণেই আগাম সতর্ক করে এই চিঠি। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
এর সঙ্গেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, যারা এখনও মডেল প্রিজন ম্যানুয়াল ২০১৬ অনুসরণ করছেন না তাদের অবিলম্বে তা মেনে চলার ব্যাপারে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে রাজ্যের জেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে যাতে অতিবিপ্লবীদের কার্যকলাপ জেলের অন্দরে না থাকে সেটা দেখতে হবে। এদিকে যে সমস্ত জেলবন্দিরা বিপথে চলে যাচ্ছেন তাদের মন ফেরাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নানা ধরনের আসামীরা থাকেন জেলের অন্দরে। তাদের ক্য়াটাগরি অনুসারে আলাদা করে রাখার ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মাদক পাচার সংক্রান্ত মামলায় যে সমস্ত ব্যক্তিরা ধরা পড়ে জেলে রয়েছেন তাদের অন্য বন্দিদের থেকে আলাদা রাখার ব্যাপারেও বলা হয়েছে। অন্যদিকে দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে, উত্তরপূর্ব ভারতে জঙ্গি সংক্রান্ত কার্যকলাপ অনেকটাই কমে গিয়েছে।
জেলাস্তরের সমস্ত সংশোধনাগার ও আদালতের মধ্যে যাতে ভিডিয়ো কনফারেন্সের ব্যবস্থা থাকে সেটাও নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে।একেবারে জরুরী ভিত্তিতে কাজটা করার জন্য বলা হয়েছে।
অন্যদিকে সংশোধনাগারে যাতে স্টাফেদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটা নিশ্চিত করার ব্যাপারেও বলা হয়েছে চিঠিতে।