রাত পোহালেই দিল্লি ভোট। তার আগে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি এখনই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে এলাম। তাঁরা আমাকে বলেছেন যে সাধারণত নির্বাচন কমিশন সাইলেন্ট পিরিয়ডে দেখা করেন না। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী। আমি তাদের ধন্য়বাদ জানাচ্ছি। আমরা কয়েকটি বিষয় বলেছি। যেমন কিছু জায়গায় হিংসা হচ্ছে, গুন্ডামি হচ্ছে, যেমন দিল্লি পুলিশকে ব্যবহার করে গুন্ডামি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছে যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোট যাতে নির্বিঘ্নে হয়, নিরপেক্ষ হয় সেকারণে সবরকম পদক্ষেপ তারা নেবে।
কেজরিওয়াল বলেন, পুলিশের গুন্ডামির জন্য, বিজেপির গুন্ডামির জন্য হয়তো মানুষ ভয়ে ভোট দিতে বের হবেন না। সেক্ষেত্রে কমিশনকে সুনিশ্চিত করতে হবে যে ভোটাররা যাতে ঘর থেকে বের হতে পারেন। তৃতীয় কথা হল এটা একটা বড় আশঙ্কার কথা যে হয়তো আজ রাতে পয়সা দিয়ে, ধমক দিয়ে ভোটের কালি ওদের আঙুলে লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে। যাতে তারা ভোট দিতে যেতে না পারে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ধন্য়বাদ জানাচ্ছি যে ওরা এতটা সর্ট নোটিশে আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
এদিকে আপ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আপ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কমিশন জোর দিয়েছে যে সমস্ত নির্বাচনী আধিকারিকদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করা উচিত। যদি কেউ সমস্যা তৈরি করে তবে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে। নির্বাচন কমিশন সমস্ত জেনারেল, পুলিশ, এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভারদের নির্দেশ দিয়েছে যে ফিল্ডে থাকতেই হবে, সারারাত ধরে বিশেষত সীমান্ত এলাকায় কড়া নজর রাখতে হবে। এমসিসি যাতে কড়াভাবে প্রয়োগ করা হয় সেটা দেখতে হবে। যদি কোনও বেআইনি কাজ হয় তবে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। নাগরিক, পার্টি, প্রার্থীদের অনুরোধ করা হচ্ছে আপনারা কমিশনের সি ভিজিল অ্য়াপটা ডাউনলোড করে নিন। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও আইন ভঙ্গের ঘটনা দেখলে আপনারা তাতে জানান।
৫ ফেব্রুয়ারি ভোট দিল্লিতে। তার আগে প্রস্তুতি চূড়ান্ত। তবে এসবের মধ্য়েই ভোটের ঠিক আগের দিন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করলেন কেজরিওয়াল। আর সেখান থেকে বেরিয়ে বড় আশঙ্কার কথা জানালেন তিনি।