স্কুলের হোস্টেলে ভয়াবহ আগুন। এর জেরে প্রাণ হারাতে হল ১৭ জন পড়ুয়াকে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটেছে কেনিয়ায়। এই অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন আরও ১৩ জন পড়ুয়া। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সেদেশের পুলিশ। জানা গিয়েছে, কেনিয়ার নয়েরি কাউন্টিতে অবস্থিত হিলসাইড এন্দারাশা প্রাইমারিতে এই অগ্নিাণ্ড ঘটে। কেনিয়ার পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই প্রাথমিক স্কুলটিতে ১৪ বছর বয়সি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পড়ানো হত। (আরও পড়ুন: 'নিখোঁজ' আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা TMC বিধায়ক সুদীপ্ত রায়?)
আরও পড়ুন: আরজি কর সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার ঘটনায় রহস্য ঘনীভূত, জড়িত জুনিয়ার ডাক্তাররাও?
আরও পড়ুন: RG কর কাণ্ডে নয়া মোড়, ডিসি নর্থের নামে অভিযোগ উঠতেই নির্যাতিতার বাবার কাছে CBI
নয়েরি কাউন্টি কমিশনার পিয়াস মুরুগু এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে ছাত্রাবাসটিতে আগুন লেগেছিল সেখানে ১৫০ জনেরও বেশি ছেলে ছিল। যেহেতু বেশিরভাগ ভবনই কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি, তাই আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে এই হিলসাইড এন্দারাশা প্রাইমারিতে মোট ৮২৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটি কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির ২০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। সেই অঞ্চলে অধিকাংশ বাড়িই কাঠের তৈরি হয়। এদিকে স্কুলের সেই ছাত্রাবাসে থাকা পড়ুয়াদের মা-বাবারা স্বভাবতই উদ্বিগ্ন এই ঘটনায়। অনেকেই নাকি নিজের সন্তানের খোঁজ পাচ্ছেন না। এদিকে মৃত পড়ুয়াদের পরিবার শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। (আরও পড়ুন: ধর্ষণ-খুনের সাথে যুক্ত নয় সঞ্জয়, আরজি কর কাণ্ডে দাবি ধৃত সিভিকের আইনজীবীর)
আরও পড়ুন: 'পুলিশের কোনও পরিবার যদি ডাক্তারদের সামনে…', আরজি কর কাণ্ডের আবহে বিস্ফোরক কুণাল
আরও পড়ুন: ফের রেল দুর্ঘটনা দেশে, আলো ফুটতে না ফুটতেই লাইনচ্যুত এক্সপ্রেস ট্রেনের ২টি কামরা
এদিকে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো এই অগ্নিকাণ্ডের খবরটিকে 'বিধ্বংসী' বলে অভিহিত করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে তিনি লেখেন, 'আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই ভয়াবহ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি। দায়ীদের জবাবদিহি চাওয়া হবে।' এদিকে তাঁর ডেপুটি রিগাথি গাচাগুয়া বোর্ডিং স্কুলগুলির কাছে আবেদন করেছেন যাতে শিক্ষা মন্ত্রকের সুপারিশ করা সুরক্ষা নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করা হয়। প্রসঙ্গত, কেনিয়ায় বোর্ডিং স্কুলে স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। মাদকের অপব্যবহারের জেরে অনেক সময় এই সব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক সময়ে কেনিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। এদিকে সেই দেশে অনেক শিক্ষার্থীই স্কুলে থাকে। কারণ অভিভাবকরা বিশ্বাস করেন যে এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে যাতায়াত করতে হবে না। পড়াশোনার জন্যে পড়ুয়ারা আরও সময় দিতে পারবে।