রাজ্যের আওতায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে বিল পাস করল কেরল বিধানসভা। University Laws(Amendment) বিল পাস করা হয়েছে এদিন। ওই পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে সেখানে বিখ্যাত শিক্ষাবিদকে নিযুক্ত করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে সরকার। স্পিকার এএন শামসির জানিয়েছেন, বিলটি পাস করা হয়েছে।
বিলটি পাশ করার আগে ঘণ্টাখানেক ধরে এনিয়ে আলোচনা করা হয়। এরপর বিলটি পাস করা হয়। তবে কংগ্রেস পরিচালিত ইউডিএফ এনিয়ে সরাসরি বিরোধিতা করেনি। তবে তাদের তরফে জানানো হয়েছে. রাজ্যপালকে চ্যান্সেলর পদ থেকে সরানোর বিরোধিতা আমরা করছি না। তবে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বা কেরল হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের মধ্য়ে থেকে নিয়োগ করা হোক।
পাশাপাশি বিরোধীদের তরফে বলা হয়েছে, প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য় আলাদা করে আচার্য রাখার দরকার নেই। তবে এই সিলেকশন কমিটিতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও কেরল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে রাখা হোক।
তবে রাজ্যের আইনমন্ত্রী পি রাজীভি জানিয়েছেন, সিলেকশন প্যানেলে একজন বিচারককে রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে স্পিকারকে রাখা যেতেই পারে।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদেরই একমাত্র নিয়োগ করা হবে এমনটা হবে না।
এদিকে বিরোধীদের দাবি, কেরল সরকার তাদের পছন্দের লোকজনকে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য হিসাবে নিয়োগ করতে চাইছে। এর মাধ্যমে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কমিউনিস্ট বা মার্ক্সীয় আখড়া বানাতে চাইছে।
এদিকে কেরলে পিনারাই বিজয়নের সরকার ও রাজ্য়পাল আরিফ মহম্মদ খানের মধ্য়ে মাঝেমধ্য়েই সংঘাত বাঁধে। সেই আবহের মধ্যেই এবার আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর উদ্যোগ।