কেরলের ভিজহিনজামে বন্দর তৈরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন অব্যাহত। তবে বন্দরের প্রকল্প থেকে একচুল সরবে না সরকার। এবার এনিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার ব্যাপারে তাঁর সরকার কোনও উদাসীনতা দেখায়নি। তাঁর আশঙ্কা বহিরাগত শক্তি এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে।বিধানসভায় কংগ্রেসের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্যাবিনেট সাব কমিটি বার বার প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সরকার কোনওভাবেই কারোর প্রতি হিংসাত্মক নয়।
তবে এর সঙ্গেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এত বড় প্রকল্প বন্ধ করা সম্ভব নয়। প্রকল্প বন্ধ করার অযৌক্তিক দাবি মানা সম্ভব নয়। প্রায় ৮০ শতাংশ নির্মাণ হয়ে গিয়েছে। এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য় সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তাঁর মতে প্রতিবার একটি ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে। আর পরের দিন আবার নতুন করে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। তবে এবার এটা সন্দেহ করা খুব স্বাভাবিক যে কিছু বহিরাগত শক্তি এর পেছনে রয়েছে। নানা উসকানি সত্ত্বেও আমরা সর্বাধিক ধৈর্য্য দেখিয়েছি।
২৭ অক্টোবরের হিংসার ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। তাঁর মতে সেদিন ৫৭জন পুলিশ জখম হয়েছিল। আর্চ বিশপের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে আদানি পোর্টসও গোটা বিষয়টি নিয়ে আদালতে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাবিনেট সাব কমিটি এনিয়ে চারবার বসেছে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। সাতটি দাবির মধ্য়ে পাঁচটি আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু বন্দর তৈরির কাজ বন্ধ করা যাবে না।
এদিকে বিরোধীদের দাবি, এত অমানবিক সরকার আগে দেখিনি। আসলে আদানির সঙ্গে সরকারের গোপন বোঝাপড়া হয়েছে।
বিরোধী দলনেতা ভিডি সাথিসান জানিয়েছেন, আমরা প্রকল্পের বিরোধী নই। কিন্তু মৎস্যজীবীদের সমস্যাগুলো সরকারের বোঝা দরকার। তারাও জীবিকার জন্য লড়ছে। অপর নেতা রমেশ চেন্নিথালা জানিয়েছেন, আপনার প্রলেতারিয়ান আদর্শ কোথায় গেল?
তবে এদিন বন্দর তৈরির বিরুদ্ধে ১৩৮ দিন ধরে চলা আন্দোলনকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আন্দোলনকারী ও মুখ্য়মন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের পরে এই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।ল্যাটিন ক্যাথলিক চার্চের তরফে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা সরকারের সঙ্গে একমত সব ব্যাপারে নয়। তবে বৃহত্তর স্বার্থে আন্দোলন তোলা হয়েছে। এদিকে সরকার প্রকল্পের কাজ বন্ধ করবে না। তবে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সমীক্ষা করা হবে। পুনর্বাসনের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।