করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই সাতপাঁকে বাঁধা পড়েছিলেন। তেমন ধুমধাম করে বিয়ে হয়নি। বিয়ের আগে ফোটোশুটও হয়নি। কিন্তু মধুচন্দ্রিমার পর সেই ফোটোশুট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের পর নীতি পুলিশদের মুখে পড়তে হল কেরালার ঋষি কার্তিকেয়ন এবং লক্ষ্মীকে।
দ্য নিউজ মিনিটসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ছোটো করে বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা। তারপর গত সপ্তাহে ইদুক্কি জেলার চা-বাগান ঘেরা ভ্যাগামনে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন। সেখানে পোস্ট-ওয়েডিং ফোটোশুট করেন। নয়া দম্পতি নিজেদের গায়ে সাদা চাদর জড়িয়েছিলেন। অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে সেই ছবি তোলেন পারিবারিক বন্ধু অখিল কার্তিকেয়ন। যিনি কেরালার ত্রিশূরে ‘ওয়েডিং স্টোরিস’ নামে বিবাহ ফোটোগ্রাফির একটি সংস্থা চালান।
আর পাঁচজনের মতো ঋষি এবং লক্ষ্মীও সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেন। বিয়ের ছবি পোস্ট করার মতো তখনও অত্যন্ত উত্তেজিত ছিলেন। কিন্তু তাঁদের সেই উন্মাদনা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছবি পোস্টের পর থেকেই গালিগালাজ করা হয়। জঘন্য রুচির কমেন্ট করা হতে থাকে। ইনস্টাগ্রামেও একই অবস্থা হয়। তাতে রীতিমতো অবাক হন নয়া দম্পতি।
ঋষিকে উদ্ধৃত করে দ্য নিউজ মিনিটসের প্রতিবেদনে বলা হয়, 'পুরো শুটের সময় আমাদের গায়ে ভালোমতোই কাপড় ঢাকা ছিল। আমরা যেহেতু ভ্যাগামনের মতো জায়গায় বাইরে শুট করছিলাম, তাই কোনও পোশাক পরে না থাকা অসম্ভব। ফোটোগ্রাফার যে নৈসর্গিক ছবি তুলেছেন, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ক্যামেরা সামলানোর কৃতিত্ব ও তাঁর দক্ষতা। কিন্তু ছবির ধরণ নিয়ে আমার ও আমার স্ত্রী'কে নিয়ে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী নীতি পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।' তিনি জানান, অধিকাংশ প্রি-ওয়েডিং ফোটোশুটই গতে বাঁধা হয়। তাই তাঁরা অন্যরকম পরিকল্পনা করেছিলেন। তাতে আপত্তি ছিল না তাঁদের পরিবারেরও।
তবে অনেকে নয়া দম্পত্তির পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনেকে সেই ছবি পছন্দ না করলেও ভদ্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন। কিন্তু নীতি পুলিশদের মতো নিম্নমানের ভাষা প্রয়োগ করেননি। তবে সেইসব ট্রোল ও হেনস্থা সত্ত্বেও ঋষি ও লক্ষ্মী স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁরা ফেসবুক থেকে সেই ছবিগুলি মুছে দেবেন না। ট্রোলের জবাব না দেওয়া বা আইনি পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা এক-দু'দিনের মিটে যাবে এবং এই ট্রোলগুলির জবাব দিয়ে আমি নিজের এনার্জি নষ্ট করতে চাই না। তাই আমি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করব না।’