কেরলের কলক্কড় এলাকার ঘটনা। বছর দশেক আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ১৮ বছরের এক তরুণী। ২০১০ সালে আইরুরের বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। এব্যাপারে তার পরিবারের তরফে মিসিং ডায়রিও করা হয়। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজিও করা হয়। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাকে। এরপর একসময় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, হারিয়ে যাওয়া ওই তরুণী তার প্রেমিকের সঙ্গে বাস করত। তার বাবার বাড়ির কাছেই থাকত সে। গত মার্চ মাস পর্যন্ত সে ওই বাড়িতেই থাকত। এরপর মার্চ মাসে তার স্বামী পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান।এরপর পুলিশ ওই যুবকের খোঁজ করতে গিয়ে ১০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ওই তরুণীর সন্ধান পায়। একটা ভাড়া বাড়িতে থাকছিল তারা। দুজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে আদালতে তোলা হলে তারা জানিয়েছেন ,গত ১০ বছর ধরে তারা স্বামী স্ত্রী হিসাবেই থাকতেন। দুজনেই দুই ভিন্ন ধর্মের। ধৃতদের দাবি, মার্চ মাসের আগে পর্যন্ত মেয়েটি ছেলেটির বাড়িতেই থাকত। কিন্তু প্রতিবেশীদের থেকে তাকে লুকিয়ে রাখা হত সবসময়। ওই যুবকই রান্নবান্না করে পরিবেশন করতেন। এমনকী বাড়ির বয়স্কদের ওই তরুণীর থেকে দূরে রাখা হত বলে তাঁদের দাবি। দিনের বেলা ওই ঘরটিকে তালাবন্ধ রাখা হত। রাতে জানালা দিয়ে বাইরে আসতেন ওই তরুণী। পরিবারের লোকজনেরও দাবি, তারা জানতেন না বাড়িতে একজন মহিলা রয়েছেন।
সার্কেট ইনসপেক্টর দীপু কুমার বলেন, ‘ওদের কথায় কিছু অসংগতি রয়েছে। ওদের কাউন্সেলিং করানো হচ্ছে। আদালত তাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।’