পাচার হয়ে আসা সোনা বিক্রির অর্থ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের পিছনে ব্যয় করার অভিযোগ উঠল কেরা সোনা পাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কে টি রামিসের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তের শুল্ক দফতরের হেফাজতে থাকার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে রবিবার এনআইএ দাবি করেছে যে, বেশ কয়েক জন রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসবাদীর সঙ্গে রামিসের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সোনা পাচারের টাকা জহ্গিদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সেই ছিল অন্যতম উদ্যোগী।
এনআইএ-র কাস্টোডি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘সোনা পাচার মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের সে বোঝাতে সক্ষম হয় যে, কোভিড পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অবৈধ উপায়ে আরও বেশি সোনা আমদানি করা সম্ভব। এই ভাবে সে দেশের আর্থি পরিস্থিতিকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। বেশ কিছু সমাজবিরোধীর সঙ্গ৮ে তার ঘনিষ্ঠ সংযোগ রয়েছে এবং একাধিক বার সে বিদেশ সফর করেছে।’
জানা গিয়েছে, সোনা পাচারকাণ্ডে বেঙ্গালুরুর গোপন ঘাঁটি থেকে দুই অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও তাঁর শাগরেদ সন্দীপ নায়ারকে গ্রেফতার করার পরে মালাপ্পুরমের বাড়ি থেকে রামিসকে গ্রেফতার করে এনআইএ।
তদন্তকারী এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ৫ বছরে বেশ কয়েক বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গিয়েছে রামিস। প্রশ্ন করা হলে সে জানিয়েছে, দুবাইতে তার হোটেল ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য ভুয়ো ধরা পড়ে। সোনা পাচারের টাকা বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের পিছনে ব্যয় হয়েছে বলে এর পরে জানতে পারে গোয়েন্দা সংস্থা।