লকডাউনের জেরে মদের দোকান বন্ধ। এর জেরে কেরালায় বিপাকে অনেক মদ্যপ। আচমকা উইথড্রয়াল সিম্পটম সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছে দুইজন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্থির করেছেন যে ডাক্তারদের থেকে প্রেসক্রিপশন লিখিয়ে আনতে পারলে আবগারি দফতর মদ বিক্রি করবে।
তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছে বিতর্ক। খুব একটা খুশি নন চিকিত্সকরা।Kerala Government Medical Officers Association বলেছে এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক ও মেডিক্যাল প্র্যাকটিসের বিরোধী। সরকারকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বলেছে তারা। তারা এরকম কোনও প্রেসক্রিপশন লিখবেন না বলে সাফ জানিয়েছে চিকিত্সক সংগঠন।
অন্যদিকে এর সমালোচনা করেছে Indian Society of Gastroenterology. তাদের কথায় যে সব রোগীর উইথড্রয়াল সিন্ড্রোম দেখা দেয়, সেখানে মনস্তত্ববিদের সাহায্য নেওয়া হয়। মদের শরীরের ওপর বিভিন্ন কুপ্রভাবের কথা তুলে ধরে আইএসজি জানিয়েছে যে তাদের ট্রেনিং সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেনা। এটি সমাজের কাছে খারাপ বার্তা দেবে বলেও তাদের অভিমত। যারা মদের অভাবে অসুস্থ বোধ করছেন, তাদের সঠিক চিকিত্সা করা কাম্য বলেই আইএসজি মনে করে।
শনিবার ত্রিচূড়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন এক মদ্যপ। কায়ামকূলামে আরক ব্যক্তি সেভিং লোশন পান করে আত্মহত্যা করেন। রবিবারও অসমর্থিত সূত্রে, কয়েকটি আত্মহত্যার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে কেরালা সরকার প্রেসক্রিপশনে লেখা থাকলে মদ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তা নিয়েও উঠে গেল।