করোনা টিকা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও জারি রয়েছে। এর মাঝেই বিভিন্ন রাজ্য টিকা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী সেই টিকা রাজ্যে রাজ্যে পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে এবার কেরল হাইকোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়ে জানতে চাইল যে সে রাজ্যে কতদিনের মধ্যে টিকা পাঠাতে পারবে তারা।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত বলে, 'একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হোক যার মধ্যে রাজ্যে টিকা পাঠানো হবে। তাহলে সবাই স্পষ্ট ধারনা পাবে।' উল্লেখ্য, এই মামলা দায়ের করা ডঃ কেপি অরবিন্দন দাবি করেন, কেন্দ্রের উচিত অবিলম্বে দেশের সব টিকা প্রস্তুতকারকের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করে এই টিকার উপাদন বাড়ানো। দেশে ১৪টি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা আছে বলে জানান আবেদনকারী। পাশাপাশি টিকাকরণের স্যোগ সুবিধা না পেলে তা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন হবে বলে দাবি করেন আবেদনকারী।
উল্লেখ্য, ভ্যাকসিন তৈরির গ্লোবাল হাব হওয়া সত্ত্বেও ভারতের জনসংখ্যার ৩ শতাংশেরও কম মানুষ এখনও টিকা পেয়েছেন। এই অবস্থায় গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা জানান, ২০২১ সালের শেষে কেন্দ্রের ভাঁড়ারে ভ্যাকসিনের ২০০ কোটিরও বেশি ডোজ মজুত থাকবে।
গতকাল কেন্দ্রের উপদেষ্টা তথা নীতি আয়োগের ভিকে পাল জানান, এই ২০০ কোটি ডোজের মধ্যে ৭৫ কোটি থাকবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার, যা সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করবে। এছাড়াও ৫৫ কোটি কোভ্যাক্সিনের ডোজ থাকবে যা ভারত বায়োটেক তৈরি করবে। এছাড়া পরের বছর অর্থাৎ ২০২২-এর প্রথমার্ধের মধ্যে দেশের ভাঁড়ারে সম্ভবত ৩০০ কোটি থাকবে।