কেরলে সংখ্যালঘুদের মধ্যে স্কলারশিপ বণ্টনের হার নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিল কেরালা হাইকোর্ট। কেরলে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের নির্দেশকে দমন করার ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ নিয়েছে কেরালা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত কেরালায় মুসলিম এবং ল্যাটিন ক্যাথলিক ও ধর্মান্তরিত খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য ৮০: ২০ হারে স্কলারশিপ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই হারকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে।
চিফ জাস্টিস মণিকুমার ও জাস্টিস সাজি পি চালির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ উভয় সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারাই যাতে সমানভাবে স্কলারশিপের সুবিধা পান সেব্যাপারে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসারে ওয়েলফেয়ার বোর্ডের নির্দেশ আইনসঙ্গত নয়। এব্যাপারে একটি স্বচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া দরকার যাতে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের সুবিধা পাওয়ার মধ্যে একটা সমতা থাকে। জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত কেরলের বাসিন্দা জাস্টিন পি আদালতের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন স্কলারশিপ বণ্টনের ক্ষেত্রে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা ঠিক জনসংখ্যার ভিত্তিতে হয়নি। এটা পুরোপুরি একপেশে এবং রাজ্য সরকার একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ।
কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের দাবি কেরলে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে বেকারত্বের হার প্রায় ৫২ শতাংশ, খ্রিষ্টানদের মধ্যে ৩১.৯ শতাংশ ও পিছিয়ে পড়া হিন্দুদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ। তাছাড়া সাচার কমিটির রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছে কেরল সরকার। তবে আদালতের দাবি এই সরকারি নির্দেশ অসাংবিধানিক ও আইনসঙ্গত নয়।প্রসঙ্গত ২০১৫ সালে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।