বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী কর্মীদের বেতন দেওয়ার সরকারি নির্দেশ খারিজ করল হাই কোর্ট

ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী কর্মীদের বেতন দেওয়ার সরকারি নির্দেশ খারিজ করল হাই কোর্ট

ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মীদের বেতন ও ছুটি বহাল রাখার রাজ্য সরকারি নির্দেশকে খারিজ করল কেরালা হাই কোর্ট।

কেন্দ্র-বিরোধী ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মীদের বেতন ও ছুটি বহাল রাখার রাজ্য সরকারি নির্দেশকে খারিজ করল কেরালা হাই কোর্ট।

দুই বছর আগে দুই দিনের দেশব্যাপী কেন্দ্র-বিরোধী ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার রাজ্য সরকারি নির্দেশ বাতিল করল কেরালা হাই কোর্ট। 

২০১৯ সালের ৮ ও ৯ জানুয়ারি দুই দিনের কেন্দ্র-বিরোধী ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মীদের বেতন ও ছুটি বহাল রাখার রাজ্য সরকারি নির্দেশকে হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন আইনজীবী বি বালাগোপালন। 

গতকাল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস মণিকুমার ও বিচারপতি শাজি পি চ্যালিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ রায় দিয়েছে, ‘আইনে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, ধর্মঘট ডাকা বা তাতে অংশগ্রহণ করা বেআইনি এবং এ ক্ষেত্রে সেই আচরণ বৈধ ঘোষণা করার সরকারি প্রচেষ্টা কোনও মতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’

এই দুই দিন দফতরে গরহাজির থাকা সরকারি আধিকারিকদের ছুটি মঞ্জুর করার সিদ্ধান্তও খারিজ করে দেয় আদালত। সেই সঙ্গে রেজিস্টার খতিয়ে দেখে কর্মীদের হাজিরার খতিয়ান পরীক্ষা করে বিভাগীয় প্রধান এবং রাজ্যের মুখ্য সচিবকে দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

কেরালা হাই কোর্টের এই রায়ের জেরে যে সমস্ত সরকারি কর্মী ধর্মঘটের কারণে দফতরে অনুপস্থিত থেকেও সরকারি নির্দেশে মাইনে পেয়েছেন, তাঁদের দুই দিনের বেতন ফেরত দিতে হবে। 

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক নীতিরল বিরুদ্ধে প্রতিবাদজানাতে দুই দিন ব্যাপী জাতীয় ধর্মঘটের ডাক দেয় কর্মী সংগঠনগুলি। তার জেরে তৎকালীন বাম-শাসিত কেরালায় দুই দিনের অচলাবস্থা দেখা দেয়।  

পরবর্তীকালে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, অনুপস্থিত কর্মীদের ওই দুই দিন ছুটি মঞ্জুর করা হবে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানান গোপালন। 

হাই কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, ‘আইন অমান্য করে সরকার কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারে আমরা মনে করি না। নীতিগত সিদ্ধান্ত হলেও আদালত তা বৈধ, সঠিক বা ভুল কি না, তা সংবিধানের ২২৬ নম্বর ধারায় দেওয়া ক্ষমতাবলে যাচাই করে দেখতে পারে আদালত। দেখা দরকার, সেই নীতি যুক্তিসঙ্গত কি না।’

বন্ধ করুন