Kerala High Court on Aadhaar Card: 'জন্মের তারিখের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয় না আধার', পর্যবেক্ষণ কেরল হাই কোর্টের

অসমের এক বিবাহিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে সে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে তাকে ধর্ষণ করেছে। যদিও অভিযুক্ত দাবি করে যে তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। এর প্রেক্ষিতেই আদালত আধার কার্ডের দ্বারা বয়স নির্ণয় করা নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে।

আধার কার্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কেরল হাই কোর্টের

জুভেনাইল জাস্টিস (শিশু সুরক্ষা) আইন, ২০১৫-র অধীনে কারও জন্ম তারিখের প্রমাণের নথি হিসাবে বিবেচিত হয় না আধার কার্ড। এমনই পর্যবেক্ষণ করল কেরল হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযুক্তের বয়স নিয়ে বিবাদ ছিল। এই আবহে কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি বেচু কুরিয়ান জানান, স্কুল সার্টিফিকেটে বয়সের উল্লেখ থাকলে সেটাকেই চূড়ান্ত হিসেবে ধরা হবে। বিচারপতির কথায়, স্কুল সার্টিফিকেট না থাকলে পুরসভা বা পঞ্চায়েতের ইস্যু করা জন্ম শংসাপত্রও বয়সের প্রমাণ পত্র হিসেবে গণ্য করা হবে।

উল্লেখ্য, অসমের এক বিবাহিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে সে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে তাকে ধর্ষণ করেছে। যদিও অভিযুক্ত দাবি করে যে তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। তাই তাকে নাবালক হিসেবে বিবেচনা করে এই মামলার বিচার হোক। পাশাপাশি সে জামিনেরও আবেদন করে। অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, আধার কার্ডে তার মক্কেলের জন্ম তারিখ দেওয়া ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারি। যদিও স্কুল সার্টিফিকেট অনুযায়ী অভিযুক্তের জন্ম হয়েছে ২০০৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। এই আবহে আদালত স্কুল সার্টিফিকেটের জন্ম তারিখকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলে।

বিচারপতি বলেন, ‘যদি স্কুলের শংসাপত্র বা ম্যাট্রিকুলেশন বা সমমানের সার্টিফিকেট থাকে এবং তাতে জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়ে থাকে। তবে জুভেনাইল জাস্টিস (শিশু সুরক্ষা) আইন, ২০১৫-র ৯৪(২) ধারা অনুযায়ী শুধুমাত্র উল্লিখিত নথিই অভিযুক্তের বয়সের প্রমাণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য।’ উল্লেখ্য, এর আগে কর্ণাটক হাই কোর্ট একটি মামলার প্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণ করেছিল, জুভেনাইল জাস্টিস (শিশু সুরক্ষা) আইন ২০০৭-এর ১২(৩) নং ধারা অনুযায়ী, কোনও নির্যাতিতার স্কুল সার্টিফিকেট বা জন্ম শংসাপত্র না থাকলে তবেই নির্যাতিতার বয়স নিয়ে চিকিৎসকের মতামতর গ্রহণ করা হবে। সেই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই অভিযুক্তের বয়স নির্ধারণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল কেরল হাই কোর্ট।