তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সিপিএম ছেড়ে। দীর্ঘ লড়াই করেছেন রাজনীতির ময়দানে। তারপর যোগ্য মনে করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়াকে। শুধু তাই নয়, সংগঠন যে তিনি ভাল করেই বোঝেন সেটা আবার প্রমাণের একটা সুযোগ খুঁজছিলেন। এবার সেটা পেয়েও গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কদিনের মধ্যেই। হ্যাঁ, বড় দায়িত্ব পেলেন কেরলের প্রাক্তন সিপিএম নেতা পিভি আনভার। তাঁকে কেরলের আহ্বায়ক হিসেবে নিযুক্ত করল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামীদিনে কেরলে লড়াই করবে তৃণমূল কংগ্রেস পিভি আনভারকে সামনে রেখে। এমনই পরিকল্পনা নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে এই খবর। যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিভি আনভারকে এই দায়িত্ব দেওয়া হল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকী তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। দায়িত্ব পেয়ে অত্যন্ত খুশি পিভি আনভারও। তিনি শুক্রবারই পিনারাই বিজয়নের দলের সঙ্গে সমস্ত সংস্রব শেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগ দিয়েছেন দলে। আর তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগ দিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পিছনে একটা কারণ আছে পিভি আনভারের। সেটি হল—তৃণমূল কংগ্রেসেরই একমাত্র তকমা আছে সিপিএম সরকারকে বাংলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার। আবার বিজেপির বিজয়রথ রুখে দেওয়ার ক্ষমতাও যে আছে সেটা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এবং ধারাবাহিকভাবে দেখিয়ে চলেছে। সেখানে কেরল থেকে সিপিএমকে মুছে ফেলতে তৃণমূল কংগ্রেসকে সেখানে প্রতিষ্ঠা করতে চান পিভি আনভার। আর তাতেই সহমত পোষণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। এখন মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল। গোয়া এবং ত্রিপুরায় লড়াই করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দাক্ষিণাত্যে সংগঠন বিস্তার করতে বামশাসিত কেরলেও ঢুকে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। নেতৃত্বে পিভি আনভার।
আরও পড়ুন: কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নানে প্রথমেই ডুব দিলেন ৫০ লক্ষ পুণ্যার্থী, সংখ্যা ছাড়াতে পারে ৪৫ কোটি
পিভি আনভার শুরুতে সিপিএমেই ছিলেন। ভোটে জিতে বিধায়কও হন। তারপর পিনারাই বিজয়নের সরকারের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন। তখন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই আবহে নীলাম্বুর কেন্দ্র থেকে নির্দল হয়ে ভোটে লড়ে জেতেন। এবার কেরলের কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্রতর করতে ২০২৪ সাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন পিভি আনভার বলে সূত্রের খবর। ২০২৫ সালে তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হল। ১০ জানুয়ারি থেকে তাঁর নতুন পরিচয়—কেরলের একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। আজ, সোমবার কেরল বিধানসভার সদস্য হিসেবে ইস্তফাপত্র পেশ করেন পিভি আনভার। আর বেরিয়ে বলেন, ‘পিনারাই জমানার শেষ দেখতে চাই।’