পবন দীক্ষিত
দীর্ঘ দুবছরের কারাবাস। বৃহস্পতিবার সকালে জেল থেকে মুক্তি পেলেন কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পান। লখনউয়ের জেল থেকে বের হলেন তিনি।বুধবার সেশন কোর্ট তাঁকে জামিনে মুক্ত করেছিল। জেল থেকে বেরিয়ে কাপ্পান সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশে থাকার জন্য তিনি সংবাদমাধ্য়মকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ২৮ মাস পরে আমি জেল থেকে বেরিয়েছি। আমার পাশে থাকার জন্য় মিডিয়াকে আমার ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল। এখন মুক্ত হতে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে।
এদিকে মুক্তির নির্দেশে আদালতের তরফে জেল সুপারকে জানানো হয়েছিল অন্য কোনও মামলায় তিনি ওয়ান্টেড না হয়ে থাকলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। গতবছরের ২৩ ডিসেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ তাঁর জামিনের আবেদনকে মঞ্জুর করেছিল। আর্থিক প্রতারণার মামলাও তার বিরুদ্ধে উঠেছিল। সেই মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।
সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারক ডিকে সিং তাঁকে জামিন দিয়েছেন। নির্দেশে বলা হয়েছিল, ১.৩৬ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ হাজির করা হয়নি। বর্তমানে নিষিদ্ধ পপুলাল ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এই বিপুল অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কাপ্পানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। তবে পিএমএলএ মামলায় তিনি তারপরেও জেলে ছিলেন।
মথুরা টোল প্লাজা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এরপর ইউএপিএ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আরও তিনজনের বিরুদ্ধে এই ধারায় মামলা করা হয়েছিল। গত ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তিনি হাথরাস গণধর্ষণের ঘটনার কভার করার জন্য যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে সেই সময় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বিভিন্ন মহলে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআইয়ের সক্রিয় সদস্য কাপ্পান। তিনি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলাকে বিঘ্ন ঘটাতে চাইছেন। সেকারণেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাংবাদিক হিসাবে গণধর্ষণের ঘটনার কভার করতে যাওয়ার পথেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Unlawful Activities(Prevention) Act, Information technology Act অনুসারে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ইডি তাকে পিএমএলএ কেসে গ্রেফতারি দেখায়। তবে অবশেষে মুক্তি পেলেন তিনি।