ভূমিধসের জেরে কেরলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কেরলে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ২০০ পার করে গিয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত কেরলে ১৯৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরে কেরলের সংবাদমাধ্যম 'মাতৃভূমি'র রিপোর্টে দাবি করা হয়, মৃতের সংখ্যা ২৭৫-এর বেশি। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মৃত্যু মিছিল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন, কেন্দ্রের তরফ থেকে নাকি কেরল সরকারকে এই দুর্যোগের আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল পরপর চারদিন। এদিকে কেরলের শাসক সিপিএম আপাতত এই নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়েছে। (আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা এয়ারটেলের, এই গ্রাহকদের ফ্রি ইন্টারনেট, ফোন কল এবং SMS দেবে সংস্থা)
এদিকে এই দুর্যোগের মধ্যেই উদ্ধারকাজ জারি রাখতে চটজলদি বেইলি ব্রিজ তৈরি করেছে ভারতীয় সেনা। এই পরিস্থিতিতে আটকে থাকা মানুষজনকে নিরাপদস্থানে নিয়ে আসার প্রয়াস জারি আছে সেখানে। কেরলের রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (কেএসডিএমএ) জানিয়েছে, ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ, সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ এবং স্থানীয় কুইক রেসপন্স দলের সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। কান্নুরের ডিএসসি সেন্টারের প্রায় ২০০ ভারতীয় সেনা কর্মী এবং কোঝিকোড় থেকে ১২২ টিএ ব্যাটালিয়নও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এর পাশাপাশি, বিমানবাহিনীর তিমনটি হেলিকপ্টার, একটি এমআই-১৭ বিমান উদ্ধার অভিযানের সমন্বয় করছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার গভীর থেকেই ওয়ানাড়ের মেপ্পাদির কাছে একাধিক পাহাড়ি এলাকায় ধস নামে। রাত ১ টা নাগাদ মুন্ডাক্কাই টাউনের কাছে প্রথম ধস নেমেছিল। এর ঘণ্টাতিনেক পরে দ্বিতীয় ধস নামে একটি স্কুলের কাছে। তার জেরে আশপাশের বাড়ি এবং দোকানের মধ্যে জল এবং কাদা ঢুকে যায়। ওই এলাকায় একটি ব্রিজও ভেঙে পড়ে। তার জেরে কমপক্ষে ৪০০টি পরিবার আটকে পড়ে। একাধিক গাড়ি ভেসে যায়।
এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ওয়ানাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে 'কমলা' সতর্কতা জারি করেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ অগস্ট ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই সব স্থানে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, ২ অগস্টও ওয়ানাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে আইএমডি জানিয়েছে, ৩০ ও ৩১ জুলাই কেরলের বহু জেলায় মাঝেমধ্যেই ৩০-৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।