করোনা থেকে সোনা পাচার কাণ্ড, বিভিন্ন ইস্যুতে রীতিমত চাপে পিনারাই বিজয়ন সরকার। কিন্তু তার মধ্যে অক্সিজেনের মতো এল কেরালার স্থানীয় ভোটের ফলাফল। প্রত্যাশার থেকে অনেক ভালো করেছে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট।
বিশেষত শহুরে অঞ্চলে ভালো করেছে বামেরা। অন্যদিকে সারা দেশে কংগ্রেসের যে হতাশাজনক ট্রেন্ড, সেটা এখানেও বজায় থেকেছে। বেশ কিছুটা পিছিয়ে ইউডিএফ। অন্যদিকে অনেক চেষ্টা করেও বিজেপি এখনও তৃতীয় ও প্রথম দুই শক্তির চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে। তবে কিছু কিছু স্থানে গেরুয়া ঝান্ডা ওঠাতে পেরেছে দলীয় কর্মীরা, যার ফলে মুখরক্ষা হয়েছে বিজেপির।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৯৪১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫১৪-এ এগিয়ে এলডিএফ, ৩৬৯টি দখল করতে চলেছে ইউডিএফ ও ২৬টি তে এগিয়ে এনডিএ। গত বারের চেয়ে প্রায় সংখ্যা দ্বিগুণ করার পথে গেরুয়া শিবির। তবে মাত্র ৩৫টি আসন হারাচ্ছে বামেরা। সচারচর কেরালায় পাঁচ বছর অন্তর পুরো খেলা বদলে যায়। এবার সেটা হচ্ছে না।
ব্লক পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে এলডিএফ এগিয়ে ১০৮টি আসনে, ইউডিএফ ৪৪ আসনে। একটি আসনেও এগিয়ে নয় এনডিএ। গত বারের চেয়ে ১৮টি ব্লক বেশি জিতছে বামেরা। জেলা পঞ্চায়েতেও এগিয়ে বামপন্থীরা। ব্য়বধান দশ-চার, যেটা গতবার ছিল সাত-সাত। মিউনিসিপালিটি নির্বাচনেও এগিয়ে এলডিএফ। তারা ৪৫টি মিউনিসিপালিটি দখল করার পথে, যেখানে ইউডিএফ পেতে চলেছে ৩৫। দুটি মিউনিসাপিলিটিতে জয়যুক্ত হওয়ার পথে এনডিএ। চারটিতে অন্যান্যরা জিতছে।
ছয়টি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বাম ও ডানের মধ্যে। শেষ খবর পাওয়া অবধি ছয়টির মধ্যে পাঁচটিতে এলডিএফ এগিয়ে, তবে ব্যবধান খুবই কম, তাই বদলাতে পারে পরিস্থিতি।
বিজেপি জিতেছে পালাক্কাড পুরসভায়। অন্যদিকে থিরুবনন্তপুরমে বিজেপি ও বামেরা তীব্র লড়াই চলছে, এই মুহূর্তে একটু এগিয়ে এলডিএফ। সবরীমালা আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল পান্ডালামে ভালো ফলাফল করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি।