সংসারে আর্থিক টানাটানি। সেই সঙ্গে চিকিৎসার বিপুল খরচ। প্রতিদিনের এই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেতে মা এবং পুত্র মিলে একসঙ্গে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। অসুস্থ মাকে শাল দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেন যুবক। তারপর নিজে আত্মহত্যা করেন।কিন্তু যুবকের মৃত্যু হলেও বেঁচে যান তাঁর মা। (আরও পড়ুন: জাল আধার-প্যান বানিয়ে দিল্লিতে ধৃত পশ্চিমবঙ্গের ৩ সহ ৮ চক্রী,জালে বহু বাংলাদেশি)
এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে কেরলের কোল্লামে। এলামাডুর বাসিন্দা রঞ্জিত (৩৫) তাঁর মা সুজাতাকে (৫৮) নিয়ে থাকতেন। বছর কয়েক আগে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়।কিন্তু কয়েক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছেন সুজাতা। তাঁর দেখভালই করতেন রঞ্জিত। কিন্তু দিনে দিনে সংসারে টাকার টানাটানি শুরু হয়। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মায়ের চিকিৎসার খরচও।সূত্রের খবর, রোজকার অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে সুজাতা এবং রঞ্জিত দু’জনে মিলে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেন। গত শুক্রবার প্রথমে রঞ্জিত নিজের মায়ে গলায় শাল জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেন। সুজাতা অচৈতন্য হয়ে পড়লে রঞ্জিত ভাবেন, মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তখন তিনিও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে তার আগে দু’জনেই অতিরিক্ত ওষুধ খেয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: আঙুল ইউনুসের দিকে,বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপের আর্জি RSS-র)
আরও পড়ুন: কাঁটার সিংহাসনে ইউনুস! নাহিদের দলের নেতা বললেন, ‘যুদ্ধ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে…’
আরও পড়ুন: ১৩৫০০ কোটির জালিয়াতি করে বেলজিয়ামে বসে মেহুল চোকসি, যেতে পারেন সুইৎজারল্যান্ডে
ঘটনাচক্রে, রঞ্জিতের মৃত্যু হলেও বেঁচে যান সুজাতা। শনিবার সকালে কেরল রাজ্য বিদ্যুৎ বোর্ডের আধিকারিকরা রঞ্জিতদের বাড়ি আসেন। বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য তাঁরা ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু কেউ সাড়াশব্দ দেননি। তখন সন্দেহ হওয়ায় বাড়ি মধ্যে ঢোকেন বিদ্যুৎ বোর্ডের কর্তারা। ভিতরে ঢুকে দেখেন ঘরের বিছানায় পড়ে রয়েছেন সুজাতা। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর পাশের ঘর থেকে ঝুলছে রঞ্জিতের দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ এসে সুজাতাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে তিরুবনন্তপুরম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, রঞ্জিতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।