গোষ্ঠী সংক্রমণের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কেরালা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের একাধিক অংশে করোনা রোগীর সংখ্যা আচমকা লাফিয়ে বাড়ার পরে এমনই দাবি করলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
২৪ ঘণ্টার হিসেবে সর্বোচ্চ ৩৩৯টি সংক্রমণের জেরে কেরালায় করোনা রোগাীর সংখ্যা আপাতত ৬,৫৩৪। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কোভিড রোগী ২,২৯৫ জন এবং ৩,৭১০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছে কেরালা সরকার। এ পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা মোট ২৯ জন।
জানা গিয়েছে, নতুন ৩৩৯ রোগীর মধ্যে ১৩৩ জন স্থানীয় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, ১১৭ জন বিদেশ থেকে এসেছেন এবং ৭৪ জন এসেছেন ভিনরাজ্য থেকে। স্থানীয় সংক্রমণের হার হঠাৎ বাড়তেই সতর্কবার্তা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন জানিয়েছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, তিরুবনন্তপূরম সংলগ্ন মৎস্যজীবীদের গ্রাম পুনথুরা-সহ বেশ কিছু জায়গায় সুপার সংক্রমণ হয়েছে। আমরা যদি নিরাপত্তায় ঢিলে দিই, তা হলে এরপরেই ঘটবে গোষ্ঠী সংক্রমণ, যা চৌকাঠেই দাঁড়িয়ে রয়েছে।’
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পেতেই তাঁর রাজ্যে ট্রিপল লকডাউন চালু করেছেন বলেও জানিয়েছেন বিজয়ন। আগামী দিনে প্রতিদিন করোনা পরীক্ষার হার আরও বাড়নো হবে বলেও ইঙ্গিত করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর দাবি, ‘যাঁরা রিজার্ভ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যবিধি খুঁটিয়ে পালন করা উচিত, কারণ তাঁরাই সবচেয়ে বেশি বিপদের মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের একটি সামান্য ভুলের জন্য আমাদের সব প্রচেষ্টা বিফল হয়ে যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, কেরালা সরকারের তরফে বিভিন্ন আদিব্যাধিতে ভোগা মানুষের জন্য রিজার্ভ বা সংরক্ষিত কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সমস্ত রোগীর শরীরে নানান জটিল সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে, যার সঙ্গে করোনা সংক্রমণ যুক্ত হলে রোগীর আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।