মহিলাদের জন্য বিয়ের ন্যূনতম আইনি বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হয়েছে কেরলের একাধিক মুসলিম সংগঠন। অপরদিকে কেরলের ক্যাথলিক বিশপস কাউন্সিল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। সিপিএমের মহিলা শাখা অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক উইমেনস অ্যাসোসিয়েশনও মুসলিম সংস্থাগুলিকে সমর্থন জানিয়েছে।
মুসলিম লীগ নেতা ইটি মোহাম্মদ বশির শুক্রবার লোকসভায় একটি মুলতবি প্রস্তাব পেশ করে বলেছিলেন যে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তটি মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের বিরুদ্ধে এবং এটি দেশে অভিন্ন নাগরিক আইন প্রবর্তনের দিকে আরও একটি পদক্ষেপ। তিনি বলেন, ‘আমরা এর বিরোধিতা করব। সরকার সঙ্ঘ পরিবারের প্রিয় এজেন্ডা ইউনিফর্ম সিভিল কোড বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। মুসলিম ব্যক্তিগত আইন বোর্ড স্পষ্টভাবে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ এবং সম্পত্তির অধিকারকে সংজ্ঞায়িত করে। এই বিষয়গুলো আমাদের বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত।’
সালাফি গোষ্ঠী উইজডম ইসলামিক অর্গানাইজেশনের নেতা টিকে আশরাফ বলেন, ‘মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করার প্রয়োজনীয়তা জানা নেই আমার। ১৮ বছরে বিয়ে করলে কোনও মেডিকেল গবেষণা কোনও মানসিক বা শারীরে সমস্যার ইঙ্গিত দেয় না।’ সিপিএমের মহিলা শাখা অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক উইমেনস অ্যাসোসিয়েশনও মুসলিম সংস্থাগুলিকে সমর্থন জানিয়ে বলেছে, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। এটা নারীদের সাহায্য করার বদলে বেশি ক্ষতি করবে। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নের পরিবর্তে, সরকার সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি সহ একটি নতুন আইন নিয়ে আসছে।’
এদিকে এই বিষয়ে ক্রিশ্চান সংগঠন বলে, ‘আমরা মনে করি শিক্ষা একটি মূল বিষয়। ২১ বছরের মধ্যে নারীরা তাদের স্নাতক শেষ করার সুযোগ পাবে। এটি একটি পরিপক্ক সম্পর্ক এবং সুস্থ পরিবারের জন্য পথ প্রশস্ত করে। তাই আমরা সিদ্ধান্তটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছি।’