কেরলের মল্লপুরমে এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে বালিকারা পুরস্কার গ্রহণ করাকে কেন্দ্র করে নয়া বিতর্ক শুরু হয়। সেখানে মঞ্চে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা উঠতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এক মুসলিম শিক্ষাবিদ। তিনি রীতিমতো বিষয়টি নিয়ে আয়োজকদের ধমক দিয়েছেন বলে এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে।
ঘটনার পর থেকে কেরল জুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। সেখানে বহু মুক্তমনা মানুষই এমন ভাবধারার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। মহিলারা মঞ্চে উঠে পুরস্কার নেওয়া ঘিরে এই শিক্ষাবিদের আপত্তি অত্যন্ত পুরনো ভাবভঙ্গির বলে অনেকেই সরব হয়েছেন। উল্লেখ্য, মূল ঘটনা সোমবারের। সেদিন কেরলের মল্লপুরমের রামাপুরমে একটি নিউ মাদ্রাজা ভবনের নির্মাণ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মহল কমিটির তরফে কয়েকজন সফল পড়ুয়াকে সম্মানিত করা হয়। সেই সময় নাম ডেকে পুরস্কৃত করা হচ্ছিল পড়ুাদের। ফলে ছাত্রীদের নামও উচ্চারণ করা হয়। এই ঘটনা ঘিরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন, এমটি আবদুল্লাহ মুসালিয়ার। এক ভাইরারল ভিডিয়োতে দেখা যায়, তিনি আয়োজকদের প্রবল ধমক দিয়ে প্রশ্ন করছেন, মঞ্চে কেন মেয়েদের ডাকা হচ্ছে, তা নিয়ে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'এমন মেয়েদের ডাকবেন না। এটা আমাদের অপমান।' তাঁর দাবি মেয়েদের জায়গায় তাদের অভিভাবকদের ডেকে পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল। পরে আয়োজকরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। নেপালে চিনের তৈরি বিমানবন্দরে পা রাখবেন না মোদী! কোন পথে লুম্বিনী যাচ্ছেন তিনি?
দেখা যায় সেখানে বহু শিক্ষকরাই বসে রয়েছেন, তবে কেউ বিষয়টির প্রতিবাদ করেননি। বাম শাসকদলের থেকে অন্নি রাজা বলেন, 'এটা খুবই খারাপ ঘটনা। মহিলাদের উৎসাহ দেওয়ার জায়গায়, তাঁদের অপমান করা হচ্ছে। এমন ব্যবহারের নিন্দা করি।' তবে অনেকেই ওই শিক্ষাবিদের সমর্থনে এসেছেন। অনেকেই বলছেন, একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সংগঠনের অনুষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষাবিদ যা করেছেন তারপর, তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে। ঘটনাতে এমএসএফএর প্রেসিডেন্ট 'সোশ্যাল লিঞ্চিং' বলে অভিহিত করেন।