কেরলের ইদুক্কির সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ধীরজ রাজেন্দ্রনের মৃত্যু ঘিরে কেরলের একাধিক জায়গা রণক্ষেত্রের তেহারা নিয়েছে। ২১ বছরের ধীরজ কলেজে বাম সংগঠন স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে কেরলের জায়গায় জায়গায় ভাঙচুর করা হচ্ছে কংগ্রেস অফিস। ফেলা হচ্ছে, পাথর পাটকেল।
কেরলের পথনমথিট্টা, কুন্নুর, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম সহ একাধিক এলাকায় কংগ্রেস অফিসকে টার্গেট করে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে সিপিএম-এর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ধীরাজ রাজেন্দ্রনের মৃত্যুর প্রতিবাদে এসএফআই ছাত্র সংগঠনের তরফে কেরল জুড়ে এদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বনধ ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বহু জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশেরও ডাক দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, মালাপ্পুরমে আলাদা করে সংঘাতের ছবি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সেখানে কংগ্রেসের এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেরলের 'হাত' শিবিরের রাজ্য সভাপতি কে সুধাকরণ। সেই এলাকা পর্যন্ত বাম শিবিরের মিছিল এগিয়ে আসতেই আলাদা করে উত্তেজনা শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে, কেরলের কোল্লামে সাংসদ এন কে প্রেমাচন্দ্রনের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন এসএফআই কর্মীর বিরুদ্ধে। এবিষয়ে সদ্য বাম শিবির থেকে কংগ্রেসে আসা এই সাংসদ বলেন, 'মনে হচ্ছে পুরনো হিসাব মেটানোর জন্য অপেক্ষা করছে সিপিএম।'
এদিকে, বামশাসিত রাজ্যে বাম ছাত্র সংগঠনের এমন বিক্ষোভের জেরে কেরলের বহু হাসপাতালে কংগ্রেস ছাত্র সংগঠনের একাধিক সদস্য ভর্তি রয়েছেন বলে খবর। এরনাকুলমে দুই পার্টির সংঘর্ষের জেরে বহু কংগ্রেস ছাত্রে আহত হওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছে হাত শিবির। এদিকে, ঘটনার নেপথ্যে কংগ্রেসের দাপুটে নেতা পিসিসি প্রধান কে সুধাকরনকে দায়ী করেছে বাম শিবির। সিপিএম-এর তরফে এম ভি জয়রাজন বলেন, ' উনি (কে সুধাকরণ) ফ্রি লাইসেন্স দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর হামলা চালানোর।' উল্লেখ্য, গোটা ঘটনাবলীর দিকে পুলিশি নজরদারি রয়েছে বলে খবর কেরল প্রশাসন সূত্রে। এদিকে, ধীরজের মৃত্যুতে গতকালই শোক প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি লেখেন, 'ধীরাজের খুনিদের যত দ্রুত সম্ভব আইনের সামনে আনার নির্দেশ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। '