২০১৩ সালের 'সোলার কেস' ঘিরে কেরলের রাজনীতি কার্যত তোলপাড় হতে শুরু করে। তখন কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে ছিলেন কংগ্রেস নেতা ওমেন চণ্ডী । আর এই সোলার দুর্নীতি মামলায় তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে একাধিক অভিযোগ তোলেন বাম নেতা অচ্যুতানন্দন। এক সাক্ষাৎকারে অচ্যুতানন্দন, বলেছিলেন ওই সোলার ফার্ম তৈরি হয়েছিল কংগ্রেস নেতা তথা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চণ্ডীর নেতৃত্বে। এরপরই অচ্যুতানন্দনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার রায় আস সোমবার। কেরলের এক আদালত ওই মানহানি মামলায় কংগ্রেস নেতা ওমেন চণ্ডীকে ১০.১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিতে বলে বাম নেতা তথা কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অচ্যুতানন্দনকে।উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে কেরলের রাজনীতি তোলপাড় করা এই সোলার দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল সরিতা এস নায়ার ও বিজু রাধাকৃষ্ণাণের। সেই সময় এক মালায়লম চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৎকালীন বিরোধী নেতা অচ্যুতানন্দন দাবি করেছিলেন যে, সরিতার থেকে কমিশন পেয়েছেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ওমেন চণ্ডী। এরপরই ২০১৪ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন ওমেন চণ্ডী। জানান, এই অভিযোগ তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। ফলে দায়ের হয় মানহানির মামলা। সেই মামলায় বাম নেতা অচ্যুতানন্দনকে এক নির্দেশে বলা হয়েছে ১০.১০ লাখ টাকা যেন ক্ষতিপূরণ হিসাবে এই মামলার সাপেক্ষে কংগ্রেস নেতা ওমেন চণ্ডীকে দেওয়া হয়। এর আগে অচ্যুতানন্দনের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন ওমেন চণ্ডী। পরে সেই টাকার অঙ্ক ১০ লাখ করা হয়।
এদিকে, সোমবার আদালতের রায় আসার পরই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ওমেন চণ্ডী। তিনি বলেন, ' সিপিআইএম গল্প বানিয়েছিল যাতে আমার ভাবমূর্তি খারাপ করা যায়। আমা জানতাম সত্যিটা বাইরে আসবে।' উল্লেখ্যস ২০১৩ সালে 'টিম সোলার' নামে একটি সংস্থা একাধিক জনকে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ। সংস্থার মালিক ছিলেন সরিতা এস নায়ার ও বিজু রাধাকৃষ্ণাণ। রপ্তানীযোগ্য সোলার প্যানেল বিক্রির নাম করে এরা লোক ঠকিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও ওঠে। যে ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হতে থাকে মালায়লম রাজনীতি। কারণ এই সংস্থার মালিকদের সঙ্গে কেরলের রাজনৈতিক গণ্ডির অনেকেই সংযুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরই ওমেন চণ্ডী বনাম ভিএস অচ্যুতানন্দন মামলা সামনে আসে।