এক কিশোরীকে ৬ বছর ধরে ৬০ জন ধর্ষণ করেছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে কেরলের পাথানামথিট্টায়। সেই ঘটনায় আরও ১৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সব মিলিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের জালে ২৮ জন। প্রাথমিক ভাবে এই মামলায় ৪টি এফআইআর হয়েছিল। এখন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আরও ৯টি এফআইআর হয়েছে। পাথানামথিট্টার এসপি ভিভিজি বিনোদ কুমার জানান, ২৫ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে পুলিশ। সেই দলই এই মামলাগুলো তদন্ত করবে। তদন্তের তত্ত্বাবধানে থাকবেন দক্ষিণ জোনের ডিআইজি অজিতা বেগম সুলতান। (আরও পড়ুন: মহাকুম্ভের ক্যাম্পে স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন, সঙ্গমে পূণ্যস্নান করবেন ১৪ তারিখ)
আরও পড়ুন: দিল্লি নিবাসী হাসিনা কন্যার বিরুদ্ধেও মামলা বাংলাদেশে, কী অভিযোগ পুতুলের নামে?
আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, বিভীষিকায় ভারাক্রান্ত বাতাস
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দুই মাস আগে ১৮ বছরে পা দেওয়া ওই কিশোরী অভিযোগ করেছেন, গত ৬ বছর ধরে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। জানা যায়, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাউন্সেলিংয়ে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই কিশোরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাঁর মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। এরপরই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। বিষয়টি তারপর পুলিশকে জানানো হয়। এরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতারি শুরু করে। এই কিশোরীর ওপর অত্যাচারের ঘটনায় মোট ৬০ জন জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে একজনের কাছে সেই কিশোরীর ধর্ষণের ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখা ছিল বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো দেখিয়েই বারংবার তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল এবং পরপর ধর্ষণ করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: কুলতলিতে বন্দি বাঘ, দিনভর আতঙ্ক বাড়িয়ে গভীর রাতে ধরা দিল রয়্যাল বেঙ্গল)
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভের পুণ্যার্থী বহনকারী ট্রেনে ছোড়া হল পাথর, আতঙ্কিত যাত্রীরা: ভিডিয়ো
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরী একজন ক্রীড়াবিদ। পাথানামথিট্টা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান রাজীব এন জানান, সেই কিশোরী স্কুলের কাউন্সেলিংয়ের সময় প্রথমবারের মতো নিজের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিষয়ে মুখ খোলেন। এরপর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হস্তক্ষেপে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ, সেই কিশোরীকে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ করা হয়েছিল। এমনকী স্পোর্টস ক্যাম্পে কোচেরাও তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ক্লাসমেটরাও যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণ করেছে সেই কিশোরীকে। (আরও পড়ুন: 'তালিবানি শাসনকে বৈধতা দেবেন না', মুসলিম বিশ্বের কাছে আবেদন মালালার)
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৩ দিন ধরে নিখোঁজ হিন্দু ব্যবসায়ী, আতঙ্কিত পরিবার, তদন্তে পুলিশ
আরও পড়ুন: জেলে বসে একবছরে আয় ২২৪১০ কোটি, নির্মলাকে চিঠি সুকেশের, আয়কর বাবদ দিলে চাইলেন...
এই কিশোরীর নিজের ব্যক্তিগত কোনও ফোন নেই। তবে ৪০ জন ধর্ষণকারীর নাম এবং ফোন নম্বর নাকি তিনি নিজের বাবার ফোনে সেভ করে রেখেছিলেন। পুলিশ পকসোর ধারায় মামলা রুজু করেছে। একাধিক পুলিশ স্টেশনে এই সংক্রান্ত মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, সেই কিশোরীর অভিযোগ সত্য কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্যরা মেয়েটিকে একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর কাউন্সেলিং করা হয় বলে জানা গেছে। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, 'ঘটনাটি অস্বাভাবিক বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।'