সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছে কৃষি বিল। বাকি শুধু রাষ্ট্রপতির সইয়ের। কিন্তু এই বিলগুলির বিরুদ্ধে এবার শীর্ষ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেরালার বামপন্থী সরকার।
তাদের দাবি, সংবিধানে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের যে হিসেব দেওয়া আছে, কৃষি বিল তার পরিপন্থী। কৃষি যেহেতু যৌথ তালিকায় আছে, সেখানে রাজ্যের সঙ্গে শলা-পরামর্শ না করে সিদ্ধান্ত নেওয়া বেআইনি বলেই বিজয়ন সরকারের দাবি।
এর আগে এই সংক্রান্ত আইনি পরামর্শ নেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী সুনীল কুমার। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয় ও সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শীর্ষ আদালতে যাওয়ার। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্র আঘাত করেছে বলেই মনে করছে কেরালা সরকার।
কুমার বলেন রাজ্যদের সঙ্গে কথা না বলে এই বিল আনা হয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গেও কথা বলা হয়নি। তিনি বলেন যে পুঁজিবাদীদের শুধু এই বিলগুলি থেকে লাভ হবে। প্রসঙ্গত কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য তিনটি বিল সংসদে বিরোধীদের প্রবল আপত্তির মধ্যেও পাশ করেছে মোদী সরকার। এর ফলে চাষীদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে, তারা নিজেদের পণ্যের জন্য আরো ভালো দাম পাবেন বলেই কেন্দ্র মনে করছে। যারা মধ্যবর্তী মানুষ লাভের গুড় খেয়ে নেন, তারা এই বিলগুলি আইনে পরিণত হলে সমস্য়ায় পড়বেন। এই বিলগুলিকে চাষীদের সুরক্ষাকবচ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে বিলের বিরোধীরা বলছেন যে মান্ডি ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেলে কৃষক আরও বিপাকে পড়বে। চাষীরা যে দাম পাবে সেটা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে যাতে কম না হয় সেটা নিশ্চিত করার দাবি করেছেন বিরোধীরা।
এদিন কেরালার কৃষিমন্ত্রী বলেন যে তারা বিকল্প ব্যবস্থা তৈরী করছেন চায়ী সমবায় সমিতি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনদেরকে যুক্ত করে। এই কৃষি সংস্কার পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করবে বলেই তাঁর অভিযোগ।
প্রসঙ্গত কেরালার দুই সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন রাজ্যসভায় এই বিল পাশের সময় ঝামেলা করার জন্য। এই বিল নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হচ্ছে পঞ্জাব, হরিয়ানায়। কেরালার পর পঞ্জাবের অমরিন্দর সরকার সুপ্রিম কোর্টের পথে যায় কি না, সেটাই দেখার।