কেরালার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মে সি জোসেফিইন মুখ ফস্কে একটি বড় তথ্য জনসমক্ষে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন যে অন্যদের চিন্তা করার দরকার নেই, তার দল সিপিএমই পুলিশ ও আদালতের কাজ করে দেয় অধিকাংশ সময়ে। এই বক্তব্যের পর তাঁর ইস্তফার দাবি করেছে বিরোধী কংগ্রেস ও বিজেপি। কিন্তু সেই দাবি অগ্রাহ্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর দাবি তিনি কিছুই জানি না এটা নিয়ে।
দলের এক বিধায়ক পিকে শশীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিল এক ছাত্রী নেতা। তাকে দল থেকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করে সিপিএম। এই প্রসঙ্গে জোসেফিন বলেন যে কেউ যদি পার্টি তদন্ত চায় সেখানে পুলিশ বা মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন যে এই নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু পরে অভিযোগকারিনীর পরিবার বলে যে তারা শুধু দলীয় তদন্ত হলেই খুশি।
নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে জোসেফিন বলেন, ‘আমি এই দলে বড় হয়ে উঠেছি। কোনও দল এর থেকে কড়া ব্যবস্থা নেবে না। এরকম পরিস্থিতিতে দলই পুলিশ, দলই কোর্ট।’ কোনও কম্প্রোমাইজ করা হয় না বলে জানান তিনি।
তবে এরকম অভিযোগ উঠেছে যেখানে দলীয় নেতারা যুক্ত, সেখানে ঠিকঠাক করে তদন্ত করেন না জোসেফিন। পালাক্কাডে দুই নাবালিকার মৃত্যুর তদন্তে কিছু কাজ করেনি কমিশন বলে অভিযোগ উঠেছিল যেখানে পার্টির কিছু লোক যুক্ত ছিল । পরে আদালতকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
রাজ্যের বিরোধী নেতা কংগ্রেসের রমেশ চেন্নিথালা বলেন যে জোসেফিনের কোনও অধিকার নেই আর নিজের জায়গায় থাকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন বলেন যে নেত্রী সংবিধান বিরোধী কথা বলছেন। সিপিএমের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য জোসেফিনকে সরানোর অবশ্য কোনও অভিপ্রায় দেখাচ্ছে না দল। বিজয়নের কথায় তিনি জানেনই না এরকম কিছু হয়েছে। বিপাকে পড়ে জোসেফিন এখন সেই মিডিয়াকে তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করার দায়ে দুষ্ট করছেন।
কিন্তু বাস্তব হল পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের শাসনের সময় বিরোধীরা যে অভিযোগ করে এসেছেন, কেরালায় নিজের থেকেই সিপিআইএমের এক নেত্রী সেই কথা মেনে নিলেন, যে পুরোটাই দলতন্ত্র!