দু’সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এখনও খোঁজ মেলেনি সুদীক্ষা কোনাঙ্কির। ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত।তিনি আদৌ বেঁচে আছেন কি না, জানা নেই কারও।এই আবহে ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছেন জশুয়া স্টিভেন রিবে। সুদীক্ষার সঙ্গে শেষবার দেখা গিয়েছিল এই ব্যক্তিকেই।
জানা গেছে, ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের আদালতে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় এই মামলার সওয়াল জবাব চলেছে। সব পক্ষের মতামত শোনার পর চলা বিচারক এডউইন রিজো জানান, জশুয়া রিবে এই নিখোঁজ মামলার একজন অন্যতম সাক্ষী। ডমিনিকান আইনের তাঁর চলাফেরার উপর কোনও বিধিনিষেধ নেই।অন্যদিকে, রিবের পারিবারিক আইন সংস্থা অ্যাবোগাডোস কনসালটোরেস গুজমান আরিজা বলেছেন, লা আল্টাগ্রাসিয়া প্রসিকিউটরের অফিস জশুয়া রিবের পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। গোপনীয়তার কারণে জশুয়া মার্কিন কনস্যুলেট থেকে একটি নতুন পাসপোর্ট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যা দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। তবে ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র ছাড়ার পর রিবে কোথায় গিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।
ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র দিয়েগো পেসকুইরাকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, সুদীক্ষার পরিবার তাঁর মৃত্যুর ঘোষণার জন্য অনুরোধ করে পুলিশকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। যদিও এই চিঠির প্রসঙ্গে সুদীক্ষার পরিবার প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ফলে তারা কেন মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছে, সেই কারণ অজানাই রয়েছে।দিন কয়েক আগে ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। শেষ বার গত ৬ মার্চ পুন্টা কানা শহরের রিউ রিপাবলিকা রিসর্টে তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই নিখোঁজ। পুলিশ বিভিন্ন দিকে খোঁজ করছে, কথা বলেছে ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। কিন্তু কোনও সন্ধান মেলেনি। এমনকি, তাঁর দেহ পাওয়া যায়নি।জানা গিয়েছে, সুদীক্ষার সঙ্গে শেষ বার দেখা গিয়েছিল জশুয়া স্টিভেন রিবেকে।জিজ্ঞাসাবাদে জোশুয়া জানিয়েছেন, তিনি ও সুদীক্ষা সমুদ্রসৈকতে কোমরজলে নেমে চুম্বন করছিলেন। তখনই ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান সুদীক্ষা। প্রশিক্ষিত লাইফগার্ড জোশুয়ার দাবি, তিনি তাঁকে জল থেকে তুলেও আনেন। কোনও রকমে সৈকতে এসেই অজ্ঞান হয়ে যান জোশুয়া। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও তাঁকে একাই হোটেলে ফিরতে দেখা গিয়েছে।
তবে ওই সমুদ্রসৈকতেই একটি চেয়ারে সাদা রঙের পোশাক পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পাশেই মিলেছে বালিমাখা এক জোড়া চটিও। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই পোশাক এবং জুতো সুদীক্ষারই। সম্ভবত সেগুলি চেয়ারের উপর রেখে বিকিনি পরে সমুদ্রে নেমেছিলেন তিনি। সুদীক্ষা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরাও। তিনি তলিয়ে গিয়েছেন, না কি তাঁকে কেউ অপহরণ করেছেন, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তদন্তকারীরা।