কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল খলিস্তানপন্থী লোকজনদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে যে উন্মত্ত খলিস্তানিরা কানাডার অন্টারিওয়ের ব্র্যাম্পটন (গ্রেটার অন্টারিও এলাকা) হিন্দু মন্দিরে ঢুকে আসে। তারপর দর্শনার্থীদের উপরে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল টেলিগ্রাফ সাংবাদিক ড্যানিয়েল ব্রডম্যান সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা গিয়েছে যে হাতে খলিস্তানি পতাকা নিয়ে কয়েকজন একটা জায়গার মধ্যে ঢুকে এসে মারধর করছে। খলিস্তানি পতাকা লাগানো লাঠি দিয়ে মারধর করছে এক ব্যক্তি। আরও বিভিন্নরকম লাঠি নিয়ে ছুটে এসে কয়েকজন হামলা চালাচ্ছে। তারইমধ্যে এক মহিলাকে চিৎকার করতে শোনা যায়। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন বা কানাডা সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আপাতত কোনও মন্তব্য করেনি ভারত সরকারও।
ওই মন্দিরে ৫৫ ফুট হনুমান মূর্তি আছে
আর যে মন্দিরে খলিস্তানিপন্থী লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যেখানে ৫৫ ফুট উঁচু হনুমান মূর্তি আছে। গত বছর ডিসেম্বরে প্রকাশিত 'হিন্দুস্তান টাইমস'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্দিরের এক পুরোহিত বলেছিলেন যে 'আমাদের মন্দিরে নিরাপত্তা আছে। আর রাতেও আমরা নজরদারি চালাব।' সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে কয়েকজন লোক হনুমান মূর্তি তৈরির বিরোধিতা করেছিল। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ চলছিল।
সেইসঙ্গে ব্র্যাম্পটনের মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দুধর্মকে নিশানা করা হচ্ছে। অথচ পুরসভার যাবতীয় নিয়ম মেনেই সেই মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরের নিজস্ব এলাকার মধ্যেই মূর্তি আছে। আর তৈরি করতে যে অর্থ লেগেছে, সেটা পুরোপুরি ডোনেশনের মাধ্যমে তোলা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ব্র্যাম্পটনের মন্দিরের পুরোহিত।
ব্র্যাম্পটনে খলিস্তানিদের দাপট
এমনিতে সম্প্রতি ব্র্যাম্পটনে খলিস্তানপন্থীদের দাপট দেখা গিয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের নিশানা করে ভারত মাতা মন্দিরের বাইরে পোস্টার দেখা দেখা গিয়েছিল। ভারতীয় সরকারের পেনশনভোগীদের লাইফ সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য কনস্যুলার ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল খলিস্তানপন্থীরা। ফেব্রুয়ারিতে আবার মিসিসাউগা শহরের রাম মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। তোলা হয়েছিল ভারত-বিরোধী স্লোগান।