পঞ্জাবের খাদুর সাহিব লোকসভা আসন থেকে প্রায় ২ লাখ ভোটে জয়ী হয়েছে খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং। বর্তমানে অমৃতপাল জেলে আছে। ওয়ারিস দে পঞ্জাব নামক সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল পঞ্জাবে নতুন করে খলিস্তানি আন্দোলন শুরু করার চেষ্টা করেছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করে অসমের জেলে পাঠানো হয়। সেই অমৃতপাল জেল থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়ে জয়ী হয়েছে এবারে। এহেন অমৃতপাল অবশ্য এখনও সাংসদ হিসেবে শপথ নিতে পারেনি। তবে এবার চারদিনের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে অমৃতপালকে। শুক্রবার থেকে শুরু হবে এই প্যারোল। জানা গিয়েছে, অমৃতপাল ভোটে জেতার পরে রাজ্য প্রশাসনের কাছে গত ১১ জুন একটি চিঠি লিখেছিল। পরে পঞ্জাব সরকারের তরফ থেকে স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লেখা হয় এই নিয়ে। এই আবহে অমৃতপালকে শপথ নিতে দেওয়ার জন্যে চারদিনের প্যারোল মঞ্জুর করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার বড় আপডেট সামনে এল, বাংলার সরকারি কর্মীদর নজরে '১৭৪')
আরও পড়ুন: এইমস থেকে ছাড়া পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের হাসপাতালে ভরতি লালকৃষ্ণ আডবানি
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অসমের দিব্রুগড় সেন্ট্রাল জেলে। এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অমৃতপাল তার সংগঠন 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-র সদস্যদের নিয়ে অজনালা পুলিশ স্টেশনে সশস্ত্র আক্রমণ করেছিল। এরপর থেকেই অমৃতপালকে ধরার ছক কষছিল পঞ্জাব পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, অমৃতপাল নিজের সেনা গড়ে তুলেছিল। এই আবহে খালিস্তানি কয়েদিদের নিরাপত্তার জন্য তাদের ভিনরাজ্যেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পঞ্জাব পুলিশ। অমৃতপাল ঘনিষ্ঠ দলজিৎ সিং কালসি, পাপালপ্রীত সিং, কুলবন্ত সিং ধালিওয়াল, বরিন্দর সিং জোহাল, গুরমিত সিং বুকানওয়ালা, হারজিৎ সিং, ভগবন্ত সিং, বসন্ত সিং এবং গুরিন্দরপাল সিং আউজলাও দিব্রুগড় জেলে আছে।
আরও পড়ুন: ঘরেই ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলেন, রাতেই হাসপাতালে ভরতি করা হল মুকুল রায়কে
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়, 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' গোষ্ঠীর নেতা অমৃতপাল সিং একজন 'আইএসআই এজেন্ট'। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা তাকে ভারতে নিয়ে এসেছে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন গড়ে তুলতে। দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়াই তার মূল উদ্দেশ্য ছিল। অমৃতপাল সিং নিজের সেনা তৈরি করছিল বলে জানা গিয়েছে। নিষিদ্ধ খালিস্তান টাইগার ফোর্সের মতো 'আনন্দপুর খালসা ফোর্স' তৈরি করছিল সে। এমনকী মানব বোমা স্কোয়াডও তৈরি করছিল 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' সংগঠনের প্রধান। জানা গিয়েছে, নিজের 'নেশামুক্তি কেন্দ্র' এবং এক গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত করছিল অমৃতপাল। সেখানে যুব সমাজকে খালিস্তানি বিচ্ছিনতাবাদের পাঠ পড়ানো হত। মজুত অস্ত্র সহকারে সেই যুবকদের 'আত্মঘাতী' হামলার জন্য তৈরি করছিল অমৃতপাল সিং। আর এই সবই অমৃতপাল করছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতে। এহেন অমৃতপাল এখন লোকসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।