রবিবার সকালে ধর্মশালায় হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভার প্রধান ফটকে এবং প্রাচীরে দেখতে পাওয়া যায় খালিস্তানি পতাকা। এই ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর কঠোর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দোষীদের শীঘ্রই সাজা দেওয়া হবে।’ (আরও পড়ুন: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের কাছে মিলল স্বস্তিক চিহ্ন, সার্ভে ঘিরে বিতর্কের মাঝে তোপ ওয়াইসির)
জয়রাম এদিন এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘রাতে ধর্মশলা বিধানসভা কমপ্লেক্সের গেটে খালিস্তানের পতাকা লাগিয়ে দেওয়ার কাপুরুষোচিত ঘটনার নিন্দা জানাই। এই বিধানসভায় শুধুমাত্র একটি শীতকালীন অধিবেশন হয়ে থাকে, তাই ওই সময়েই এখানে আরও বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। এর (কম নিরাপত্তা) সুযোগ নিয়ে এই কাপুরুষোচিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে, কিন্তু আমরা তা বরদাস্ত করব না। এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি সেই সব মানুষকে বলতে চাই, সাহস থাকলে রাতের আঁধারে নয় দিনের আলোয় বের হয়ে দেখান।’
কাংড়ার পুলিশ সুপার খুশল শর্মা জানিয়েছেন, ঘটনাটি গভীর রাতে বা ভোরে হয়ে থাকতে পারে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এসপি বলেন, ‘আমরা বিধানসভার গেট থেকে খালিস্তান পতাকা সরিয়ে দিয়েছি। এটি পঞ্জাবের কিছু পর্যটকের কাজ হতে পারে। আমরা আজ একটি মামলা নথিভুক্ত করতে চলেছি এর প্রেক্ষিতে।’ ধর্মশলার সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট শিল্পী বেক্তা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জানান, হিমাচলপ্রদেশ ওপেন প্লেস (প্রিভেনশন অফ ডিফিগারমেন্ট) অ্যাক্ট, ১৯৮৫-এর প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই নিষিদ্ধ বিচ্ছনতাবাদী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নু শিমলায় খালিস্তানি পতাকা ওড়ানোর কথা বলেছিলেন। এরপরই এই ঘটনা ঘটল।