পঞ্জাবে হিমাচল প্রদেশের বাসে হামলা জারি থাকল। এই পরিপ্রেক্ষিতে হিমাচলের উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী বললেন, পঞ্জাবের আম আদমি পার্টির সরকার যতদিন না রাজ্যের বাস এবং যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে, ততদিন রাতে পঞ্জাবে পার্ক করা হবে না হিমাচলের বাস। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২১ মার্চের রাতে অমৃতসর স্ট্যান্ডে চারটি হিমাচল রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (এইচআরটিসি) বাসের উইন্ডশিল্ড ভেঙে ফেলে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা। কিছু বাসে খলিস্তানপন্থী স্লোগান লেখা হয়। অতীতেও একই ধরনের বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল। (আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত, পরপর গুলি আরাকান আর্মির, গুলিবিদ্ধ ২)
আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগকে ফেরাতে গোপন বৈঠক ক্যান্টনমেন্টে? বিতর্কে মুখ খুলল বাংলাদেশি সেনা
এইচআরটিসি ডিভিশনাল ম্যানেজার রাজ কুমার পাঠক বলেন, যে বাসগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলো বিলাসপুর, দেরা ও উনা যাওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন, হামিরপুরগামী একটি বাসে খলিস্তানি স্লোগান লেখা হয়। তিনি বলেন, এইচআরটিসি বাস কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে দফতর এবং এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এদিকে হিমাচলের উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী নিজেই রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীও বটে। এই আবহে তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবের ৬০০ রুটে চলাচল করে হিমালচের বাস। এই আবহে কয়েকটি রুটে বাস চলাচল স্থগিত করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। এর আগে এই ধরনের হামলার দেরে পঞ্জাবের ১০টি রুটে বাস চলাচল স্থগিত করে দিয়েছিল হিমাচল। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী ঢেউয়ের বিষয়ে আগে থেকে অবগত ছিল ভারত, বললেন জয়শংকর)
মন্ত্রীর কথায়, 'এইচআরটিসি কোনও বিরোধে নেই এবং আমাদের বাসগুলিকে টার্গেট করা ঠিক নয়। এটি রাজ্যের সম্পত্তি। তবে এখনও এই জাতীয় ঘটনা ঘটে চলেছে এবং আমরা পঞ্জাব সরকারের সাথে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছি। এই বিষয়ে হিমাচলের ডিজিপি পঞ্জাবের ডিজিপির সঙ্গে কথা বলেছেন। কিছু অসামাজিক অপশক্তি রাষ্ট্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে অপকর্ম করছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না। এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে (পঞ্জাবে)। এবং দোষীদের গ্রেফতার করা হবে। স্টাফ এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা মনে করি যে যতক্ষণ না পঞ্জাব সরকার আমাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পঞ্জাবে রাতে বাস পার্কিং করা হবে না। বাসগুলি হিমাচল সীমান্তে ফিরিয়ে আনা হবে এবং প্রয়োজনে কিছু রুট স্থগিত করা হতে পারে।'