এপ্রিল মাসে মধ্যপ্রদেশের খারগাঁওতে এক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার জেরে এলাকা উত্তপ্ত হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে চলেছে তদন্ত। এরপর রবিবার গ্রেফতারির ঘটনা সামনে আসে। জানা যায় এলাকার কংগ্রেস কাউন্সিলারের ছেলে এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিল। এমনই জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর কংগ্রেস কাউন্সিলারের ছেলে সমিরুল্লাহ গ্রেফতার হয়।
ধৃত সমিরুল্লার বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা দায়ের করে জেলা প্রশাসন। এলাকার মোহন টকিজ এলাকায় আলাদা করে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। এই ঘটনা রামনবমীর সময় এপ্রিল মাসে ঘটে যায়। সেই সময় থেকেই অভিযুক্তের খোঁজে নামে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সমিরুল্লাহর বিরুদ্ধে ১০ টি মামলা রুজু হয়েছে বলে খবর। সমিরুল্লাহর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলাও রয়েছে। 'ভারতে মাঙ্কিপক্স নতুন নয়', মাণ্ডব্য জানালেন প্রাদুর্ভাব রুখতে কতটা প্রস্তুত দেশ
ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের সেই হিংসার ঘটনায় ১৮৫ জন গ্রেফতার হয়েছে। ৯০ টি মামলা রুজু হয়েছে। ধৃত সমিরুল্লাহকে পাঠানো হবে ইন্দোর জেলে। জানা গিয়েছে, পুলিশ সমিরুল্লাহকে হেপাজতে চাইবে। যার ফলে তারা জেরা করার উদ্যোগ নিতে পারবে। সূত্রের খবর, সমিরুল্লাহ গোপনে একটি সংগঠন চালাত। এমআইএম তকমার আওতায় এই আউটফিট চলত বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, যুব সমাজকে পাথর ছোড়ায় উৎসাহিত করতে উস্কানি দিয়েছে সমিরুল্লাহ। এই অভিযোগ পুলিশ পেয়েছে। এরপর সেই তথ্যও পুলিশের হাতে উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। যে সংগঠনের সঙ্গে সমিরুল্লাহ যোগ ছিল সেই সংগঠনের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়িই যাবতীয় তথ্য পুলিশ এই সংগঠন সম্পর্কে জানে পারবে।