সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানা বন্ধ হওয়ার ঘটনা তো সবার জানা। চাষীরা জমি ফিরে পেলেও সেখানে আর কোনও ফসল ফলে না। এবার সিঙ্গুরের পরিণতি হওয়ার মুখ দাঁড়িয়ে অন্ধ্রের পেনুকোণ্ডা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে যে জগন রেড্ডির সরকারের নীতিতে অখুশি হয় অন্ধ্রের পেনুকোণ্ডো থেকে কারখানা সরাতে পারে কিয়া। গত বছরই এই কারখানায় উত্পাদন শুরু হয়েছে। বছরে ৩ লাখ গাড়ি বানানোর ক্ষমতাধারী এই কারখানা থেকে ১২,০০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়।
কিন্তু বিরোধীদের আন্দোলনের জন্য টাটারা যেমন সিঙ্গুর থেকে সানন্দে কারখানা সরিয়েছিল, এখানে সেভাবই তামিলনাড়ুতে কারাখানা নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে কিয়া মোটর্স। আগামী সপ্তাহে সচিব পর্যায় বৈঠক হবে, যেখানে এই বিষয় কথাবার্তা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
সরকারিভাবে কিয়া অবশ্য তামিলনাড়ুতে কারখানা সরানোর কথা স্বীকার করছে না। সংস্থা বলেছে, যে তারা ভারতের বাজারে বিনিয়োগ করতে বদ্ধপরিকর ও অন্ধ্রের প্ল্যান্টে আপাতত উত্পাদন বৃদ্ধি করার কাজে ব্যস্ত। এখনই কারখানা অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই বলেই কিয়ার দাবি।
যদিও সূত্রের খবর জগন সরকার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দেওয়ার কথা বলায় এখন অন্য রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করছে কিয়া। তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
কিয়ার হয়ে তামিল নাড়ু সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে হুন্ডাইয়ের কর্তা। হুন্ডাই হল কিয়ার সিস্টার কোম্পানি। তাদের সমস্ত গাড়ি প্রস্তুতকারক কারখানা তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। স্থানীয়দের নিযুক্ত করার জন্য যে আইন জগন সরকার নিয়ে এসেছে, এতে খুশি নয় কিয়া। একই সঙ্গে তাদের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা পুনর্বিবেচনা করার কথা বলেছে অন্ধ্র সরকার। তিনটি সূত্র রয়টার্সকে এই কথা কনফার্ম করেছে।
অন্ধ্র সরকার যদিও এই খবর উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, এরকম কোনও সম্ভাবনাই নেই।