পীযূষ খান্ডেলওয়াল
দিল্লির ৩৮ বছর বয়সী মহিলাকে গণধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ গোটাটাই সাজানো। এমনটাই দাবি করছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। এদিক পুলিশ ইতিমধ্য়েই ওই মহিলার তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। তারাই এই ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, তিনজন সন্দেহভাজনের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। তারা হল দিল্লির বাসিন্দা আজাদ তেহসিন, বাদলপুরের বাসিন্দা গৌরব শরন ও গাজিয়াবাদের বাসিন্দা মহম্মদ আফজল। তাদের বয়ান নিয়েছে পুলিশ।
ইনস্পেক্টর জেনারেল প্রবীন কুমার জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা হয়নি। মহিলার তিনজন বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে জমি সংক্রান্ত একটি বিবাদ ছিল মহিলার সঙ্গে। এমনকী আজাদের ফোনে এই ঘটনায় টাকা লেনদেনেরও প্রমাণ মিলেছে। পুলিশের দাবি, পাঁচজনকে ফাঁসানোর জন্য় এসব কথা হয়েছে।
এদিকে ওই তিনজনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে গত ১৮ অক্টোবর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল যে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। দিল্লির পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়েছিল ওই মহিলা তাঁর দাদার বাড়ির কাছে অটোর জন্য় অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় ১৬ অক্টোবর একটি এসইউভি গাড়িতে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর ১৮ অক্টোবর বস্তায় ভরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই অভিযোগটি সাজানো হয়েছিল। এবার ওই মহিলার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই গণধর্ষণের সময় হিসাবে যে দিনগুলোর কথা বলা হচ্ছে সেই সময় দিল্লির একটি জায়গায় ওই মহিলা লুকিয়ে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে ওই টুকরো জিনিসটি হল জিভছোলার একটি অংশ। তদন্তে দেখা গিয়েছে ওই মহিলা ভাইয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। তিন সন্তানকে বোনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে লুকিয়ে ছিলেন।